নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
করোনা কাঁটায় থমকে গিয়েছিল বিয়ে। ভাইরাসের দাপট একটু কমতেই সেই সব আটকে থাকা গাঁটছড়া বাঁধার হিড়িক পড়ে গিয়েছে শহর কলকাতায়। এমনটাই বলছে সরকারি তথ্য। গত ছয় সপ্তাহে ৩৬ হাজারেরও বেশি বিয়ে নথিভুক্ত হয়েছে শহরে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের অভিঘাতে মে-জুন মাস নাগাদ কঠোর কোভিড বিধি নিষেধ শুরু হয় রাজ্য জুড়ে। ঐসময়ে যাঁদের বিবাহ নির্ধারিত ছিল সকলেই প্রায় বিয়ের দিনক্ষণ পিছোতে শুরু করেন। কিছুটা বিভিন্ন বিধি নিষেধের চাপে আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পাত্র বা পাত্রী বা তাঁদের পরিবারের কেউ না কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। আবার অনেকেই পরিস্থিতি দেখে শুনে অতিমারীকালে বিয়ের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হাজার বিধি নিষেধের মাঝে সারতে চাননি।
সরকারি তথ্য বলছে গত ছয় সপ্তাহে শহর জুড়ে নথিবদ্ধ হওয়া বিয়ের সংখ্যা ৩৬ হাজারেরও বেশি। শুধুমাত্র চলতি মাসে বিবাহের শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে ৯৯৪৬টি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক আধিকারিক জানালেন এই সংখ্যা কিন্তু শুধুই ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত। এরপরে ভাদ্র মাস পড়ে গিয়েছে, তখন হিন্দু ধর্মের বিবাহ হয়না। তাছাড়া এই সময়ের মধ্যে হয়েছে বহু মুসলিম বিবাহ। ১০ অগাস্ট থেকে মহরম শুরু হয়ে গিয়েছে, ঐ সময়ে মুসলিম বিবাহও আর হয়নি।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে রুপো জয় ভারতের
সরকারি ম্যারেজ রেজিস্ট্রাররা জানিয়েছেন, এই ছ’মাসে বিয়ে দিতে কার্যত হিমশিম খেয়েছেন তাঁরাও। একই দিনে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হয়েছে বিয়ে দিতে গিয়ে। অল বেঙ্গল ম্যারেজ অফিসারস সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার মিত্র বললেন, একদিকে যেমন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পিছিয়ে যাওয়া বিয়েগুলি পাত্রপাত্রীরা সেরেছেন এই সময়ে, তেমনি আবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়ে বিয়ের তারিখ এগিয়ে এনেছেন এমন সংখ্যাও কিন্তু অনেকই।
আরও পড়ুনঃ তালিবানদের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার ১৪
ফলত সব মিলিয়ে দেড় মাসে ৩৬ হাজারেরও বেশি বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে গেল শহরে কিন্তু নিমন্ত্রণ পেলেন না অনেকেই, কারণ করোনা। এভাবেই কি করোনা নিয়ন্ত্রণ করবে আমাদের জীবন! আর কতদিন! প্রশ্ন সকলের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584