৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ নয়, সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল বিরোধীদের

0
48

ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ

সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যদা খারিজের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জমা পড়া আবেদনের শুনানি চলছে সুপ্রিমকোর্টে। প্রাক্তন কূটনীতিক বর্তমানে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শাহ ফয়জল, শেহলা রশিদ-সহ অনান্যদের আবেদনে সুপ্রিমকোর্টে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে শুনানি চলছে।

পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে আছেন বিচারপতি এন ভি রামান্না, বিচারপতি এস কে কাউল, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি, বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত।

370 section not to approve says supreme court | newsfront.co
চিত্র সৌজন্যঃ লাইভ ল

মঙ্গলবার আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী দীনেশ দ্বিবেদী আর্জি জানান, মামলার শুনানি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হোক। কারন হিসাবে দ্বিবেদী বলেন, পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে এরপূর্বে দুটি রায়ের মধ্যে দবন্দব দেখা দেওয়ায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি হওয়া প্রয়োজন।

জবাবে বিচারপতিরা জানান, প্রথমে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদি পক্ষের সওয়াল শোনা হবে তারপর মামলারটির প্রয়োজনে বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের বিবৃতি না শুনে সিএএ-তে স্থগিতাদেশ নয়, জানাল সুপ্রিমকোর্ট

এদিন ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধ আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী সঞ্জয় পারেখ দাবি করেন, সংবিধান থেকে কোন ধারা বাতিলের ক্ষমতা শুধুমাত্র সংবিধান পরিষদেরই আছে।

তাঁর যুক্তি শুনে বিচারপতি রামান্না প্রশ্ন করেন,’ আপনার মতে জম্মু কাশ্মীরের সংবিধান প্রয়ণের পরে আদালতের দেওয়া প্রতিটা রায় কি অবৈধ?’

বিচারপতি কাউল বলেন, ‘ এই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রশ্ন উঠছে ‘ তিনি বলেন, যতক্ষণ না প্রমানিত হচ্ছে যে, সংবিধান পরিষদের বিতর্কে জনপ্রতিনিধিরা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব রকম চেষ্টা করেছিলেন, ততক্ষন পর্যন্ত পারেখের বক্তব্য যুক্তিগ্রাহ্য বলে বিবেচিত হবে না।

আরও পড়ুনঃ অপেক্ষারত প্রতিবাদীদের ‘হাম দেখেঙ্গে’-র অবসান আজ, সিএএ নিয়ে শুনানি একটু পরেই

পালটা যুক্তি দিয়ে পারেখ বলেন, সংযোজন প্রক্রিয়ায় উল্লেখ করা বিষয়গুলি সংবিধান পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষ। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য প্রশাসনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

এই যুক্তি শুনে বিচারপতি রামান্না আইনজীবী পারেখকে ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত বিতর্ক ছেড়ে বর্তমান আলোচিত বিষয়ে মনোনিবেশ করতে বলেন।তাতে পারেখ দাবি করেন, সংবিধানের ধারা পরিবর্তন বা বাতিল করার বিষয়ে সংবিধান পরিষদের আগাম অনুমোদন আবশ্যিক।

বিচারপতি কাউল প্রশ্ন করেন, যদি সংবিধান পরিষদের অস্তিত্বই না থাকে ? তিনি বলেন, সংবিধানের ধারা পরিবর্তন বা বাতিলের ক্ষেত্রে সংবিধান পরিষদের অনুমোদন তখনই সম্ভব যখন পরিষদ বহাল থাকে।

এতে পারেখ মন্তব্য করেন,’১৯৫৭ সালের পরে ৩৭০ ধারা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে।‘
বিচারপতি কাউল জানতে চান, আপনি কি বলতে চান, ৩৭০ ধারার শুধুমাত্র ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে ? জবাবে পারেখ বলেন হ্যাঁ ধর্মাবতার।

এরপরেই মধ্যহ্নভোজের জন্য শুনানি মুলতুবি ঘোষণা করে সুপ্রিমকোর্টের বেঞ্চ।

তথ্য সহায়তাঃ হিন্দুস্থান টাইমস

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here