নিউজফ্রন্ট ডেস্ক, মুম্বাইঃ
মুম্বাইয়ে সেরো নজরদারি শুরু হয় ৩ জুন থেকে। ৬৯৩৬ টি স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয় ঘিঞ্জি বস্তি এলাকা থেকে, ৮৮৭০ টি অন্য এলাকা থেকে। জুলাই-এর প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত তিনটি পুর এলাকা থেকে এই পরীক্ষা করা হয়, সেগুলি হলো আর- নর্থ, এম- ওয়েস্ট এবং এফ-নর্থ।
এই তথ্য বিশ্লেষণ এর পরে জানা গেছে বস্তি এলাকায় ৫৭% মানুষ এবং অন্য এলাকায় ১৬% মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে অর্থাৎ উপসর্গ বিহীন বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সেরেও গেছেন যাঁদের হিসেব সরকারি ট্যালিতে পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুনঃ করোনা আপডেট: ২৯ শে জুলাই বুধবার
বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের আধিকারিকরা জানান এই তথ্যগুলি “হার্ড ইমিউনিটি” বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই সেরো সার্ভেটি যেসব সংস্থার তত্ত্বাবধানে হয়েছিল সেগুলি হলো, নীতি আয়োগ, বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন এবং টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ।
আরও পড়ুনঃ ভিমা কোরেগাঁও কান্ডে এবার গ্ৰেফতার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হ্যানি বাবু
সেরলজিক্যাল সার্ভের প্রধান উদ্দেশ্য হল কোনো সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হলো কিনা তা জানা। বিএমসি জানিয়েছে আরও কয়েকটি এরকম সমীক্ষা চালানো হবে যার ফলাফল “হার্ড ইমিউনিটি” তত্ত্বের জন্য প্রয়োজন হবে।
বিএমসি আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, সেরোলজিক্যাল সমীক্ষার থেকে জানা যাচ্ছে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর হার ০.০৫% থেকে ০.১০% এর মধ্যে। জুলাই ২৮ পর্যন্ত মুম্বাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১,১০,৮৪৬ এবং মৃতের সংখ্যা ৬১৮৪।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584