ওয়েবডেস্কঃ
মিশরে ২০১২ সালে দেশব্যাপী গণ আন্দোলনে সরে যেতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক।তারপরই অনুষ্ঠিত হয় ভোট।গণতান্ত্রিক ভাবে সেই ভোটে দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন মোহাম্মদ মুরশি। কিন্তু বছর না পুজতেই সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা দখল করেন সামরিক জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল সি সি।প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাস্তায় নামে মানুষ। অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে সেই আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়।মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ, অন্তত ৮১৭ জনকে গুলি করে মেরেছিল মিশর সেনা। বেআইনি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয় মুরশির সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে। গণহারে গ্ৰেফতার করা হয় মুরশি সমর্থকদের। মুরশির সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ঘটনায় মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের সাতশোর বেশি সমর্থককে নানা অজুহাতে কারারুদ্ধ করা হয়।

২০১৩ সালের সেই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরশির উৎখাতের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোর শাস্তি হিসাবে ৭৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ৪৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে আদেশ দিল বর্তমান আলসিসি সরকার।শাস্তি প্রাপ্তির তালিকায় আছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ওয়ার্ল্ড ফ্রিডম’ পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিক আবু জায়েদও।

ঘটনায় বিশ্বব্যপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।তীব্র প্রতিবাদ করেছে অ্যামনেস্টি-সহ সারা পৃথিবীর মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
(ফিচার ছবি-arabnews.com)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584