নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
দেশজুড়ে সিএএ বলবৎ করতে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই আইনকে ‘মানবতার’ প্রতীক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু, এবার সিএএ নিয়ে প্রশ্ন তুলেই বিজেপি ছাড়লেন মধ্যপ্রদেশের ৮০ জন মুসলমান নেতা। এই আইনকে ‘বিভেদের হাতিয়ার’ বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
সিএএ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুসলিম নেতারা বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গেরুয়াবাহিনী থেকে দলত্যাগী রাজিক কুরেশি ফারসিওয়ালা বলেছেন, “বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে বৃহস্পতিবারই ৮০ জন সংখ্যালঘু নেতা ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।”
ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদের উদ্দেশ্য নিয়ে সিএএ তৈরি করা হয়েছে, যা অসাংবিধানিক। এই সরল সত্যটা সব রাজনৈতিক মহলের নেতারাই বুঝছেন এখন। ডিসেম্বর মাসে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল, আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ১৫০ জন বিজেপি নেতা পার্লামেন্টেই ধরনায় বসেছিলেন। ৮০ জন মুসলিম বিজেপি নেতার ইস্তফা আরও একবার সেই ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ পাঁচ দিনের পাহাড় সফর সেরে কলকাতা ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী
এ দিন রাজিক কুরেশি ফারসিওয়ালার দাবি, “সিএএ হওয়ার পর থেকেই আমাদের সমাজে থাকা দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। মানুষ আমাদের কটাক্ষ করছিল। এই বিভেদকামী আইন আমরা আর কতদিন মেনে নেব তা জানতে চাইছিল জনগণ।”
তিনি আরও বলেন, “নীপিড়িত সব শরনার্থীরই ভারতের নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এতে ধর্ম দেখা উচিত নয়। ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে অনুপ্রবেশকারী বা সন্ত্রাসবাদী তা দেগে উচিত নয়।”
আরও পড়ুনঃ ভিডিও এডিট করে অনুব্রতের মেয়েকে তুলে নিয়ে বিয়ের হুমকি নাবালকের
নাড্ডাকে লেখা ইস্তফাপত্রে দলত্যাগী ৮০ জন নেতা জানিয়েছেন, “ভারতীয় সংবিধান অনুসারে দেশের সকল নাগরিকের সাম্য, স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। কিন্তু, বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মের ভিত্তিতে সিএএ তৈরি করেছে। বিভেদের এই আইন সংবিধানের মূল ধারার বিরোধী।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584