নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনা ভাইরাসের দাপটে নাজেহাল গোটা দেশ। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এহেন পরিস্থিতির মধ্যে করোনার সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরলেন ৯৫ বছরের এক বৃদ্ধা।হাসপাতালে পিপিই পরে থাকা চিকিৎসক এবং নার্সদের ‘বেতাল’ ভেবে আঁতকে উঠেছিলেন ওই বৃদ্ধা। করোনা জয়ী হয়ে যেদিন বাড়ি ফিরলেন, সেদিন সকলকে প্রাণভরে আর্শীবাদ করলেন মন কুয়ঁর।
হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় এক নার্স মজা করে ৯৫ বছরের ওই বৃদ্ধাকে বলেন, ‘আম্মাজি, আমরা কিন্তু বেতাল নই’। উত্তরে বৃদ্ধা মন কুঁয়র একগাল হেসে বলেন, ‘তোমরা তো পরির মতো’। উত্তরপ্রদেশের ঐতিহাসিক শহর ঝাঁসির ওই করোনা জয়ীর কথা এখন মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। তাঁকেই অনেকে ‘ঝাঁসির রানি’ বলে ডাকতে শুরু করেছেন। ৯৫ বছর বয়সে তিনি যে লড়াকু মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন, তা সত্যিই বিরল।
আরও পড়ুনঃ আনলক ৩: উঠল নাইট কারফিউ, বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সিনেমা হল
গত ১৯ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই বৃদ্ধা ভর্তি হয়েছিলেন। প্রথম দিন পিপিই পরা চিকিৎসকদের দেখে ভূত ভেবে চিৎকার করতে শুরু করেন। অবশ্য তাঁর এই আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখছেন না চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, এই বয়সে হাসপাতালের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাধারণত দু-একদিন সময় লাগে। তবে সেই তুলনায় দ্রুত মানিয়ে নিতে পেরেছেন ওই বৃদ্ধা।
আরও পড়ুনঃ একবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর কতদিন তার অ্যান্টিবডি শরীরে থাকে?
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক-নার্সদের সঙ্গে ওই বৃদ্ধা বসে গল্প করতেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা ভিডিও কলের মাধ্যমে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতেন। চিকিৎসাতেও দ্রুত সাড়া দিচ্ছিলেন তিনি।
কোভিড হাসপাতালের সুপার অংশুল জৈন জানিয়েছেন, হাসপাতালের কর্মীরা বৃদ্ধার খুবই যত্ন করেছেন। হলুদ মেশানো দুধ এবং খাবার তাঁর বেডের পাশে রেখে আসতেন হাসপাতালের কর্মীরা। প্রথমদিকে ওই বৃদ্ধা উপসর্গহীন ছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ২৫ জুলাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। বর্তমানে তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584