‘গো করোনা গো’, ছোট্ট আয়ুষের ভাবনায় করোনার নয়া রূপ

0
353

মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ

করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে বাড়ল লকডাউনের সময়সীমা। আরও দু’সপ্তাহ ঘরবন্দি থাকতে হবে মানুষকে। বাড়ির বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। দমবন্ধ হয়ে আসছে বাড়ির ছোট সদস্যদের। ছুটিটাও ঠিক করে কাটাতে পারছে না ওরা। বাবা, মায়ের বকুনির ভয়ে সারাদিন পড়াশুনো করতে হচ্ছে।

map |newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

বন্ধুদের সাথে দেখা হয়না কতদিন হয়ে গেল। এই করোনা রাক্ষসের জন্য পার্কে গিয়ে খেলাও বন্ধ। বাড়ি থেকে বেরতে মন চায় কিন্তু বাচ্চাদের যে একদম বাড়ির বাইরে বেরতে বারণ করেছে ডাক্তারকাকুরা। বাইরে বেরলেই নাকি করোনা রাক্ষস তেড়ে আসবে। কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না পুচকেগুলো। বাড়িতে আর কত খেলবে? এরইমধ্যে কয়েকজন ওই বদমাশ রাক্ষসকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবছে। এই যেমন করোনা দেখতে কেমন হতে পারে, করোনার গায়ের রঙ কিরকম, করোনা মানুষের কি কি ক্ষতি করতে পারে।

corona |newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এইসব আরকি। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা আয়ুষ হাটী-ও করোনাকে নিয়ে অনেক কিছু ভেবেছে। করোনাকে নিয়ে তাঁর অভিনব ভাবনা সে রঙ পেন্সিলের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে। করোনা ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে মানুষের দিকে যেমন তেড়ে আসছে তেমনই আবার হাসিমুখে বনের পশুদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবন দান করছে। খাতায় করোনা ভাইরাসের এরকমই সুন্দর একটি চিত্র এঁকেছে পঞ্চম শ্রেণীর এই ক্ষুদে পড়ুয়া। দেশের লকডাউন পরিস্থিতিকেও স্পষ্টভাবে পেন্সিল আর রঙের সাহায্যে ফুটিয়ে তুলেছে আয়ুষ।

আরও পড়ুনঃ গানের সুরে চা বলয়ের মানুষদের সচেতনতা বাড়াচ্ছে ক্লাব সদস্যরা

একইসাথে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মানুষকে কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে তাও দেখিয়েছে সে। করোনা নিয়ে এহেন সচেতনতা বার্তা সত্যিই প্রশংসনীয়। লকডাউনে হোম কোয়ারান্টাইনে থেকে নিজের অবসর সময় এভাবেই কাটাচ্ছে ছোট্ট আয়ুষ। আয়ুষের মতো দেশের সমস্ত বাচ্চারই এখন একই পরিস্থিতি। করোনার ভয়ে না বেরতে পারছে, না ঘরের মধ্যে থেকে আনন্দ করতে পারছে। তাই ঘরে থেকেই নিজের পছন্দের কাজে মন দিচ্ছে ক্ষুদেরা। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? কবে কাটবে এই বন্দিদশা? অপেক্ষায় আছে ওরাও।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here