আনিসুর রহমান, কোলকাতা:-
মাদ্রাসা শুধু মুসলিম দের জন্য-এই ধারণার বাইরে বেরিয়ে এসে আজ হিন্দু মুসলিম সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা অর্জন করে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসা হলো আরবি শব্দ যার মানে হচ্ছে বিদ্যালয় ।আমাদের অনেকেই হয়তো এটাও অজানা যে আমাদের রাজ্যে অনেক মাদ্রাসা আছে যেখানে হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা মুসলিমদের থেকে অনেক বেশি।
যাইহোক, ১৯৯৮ সালের আগে সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল এবং মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করতো সংশ্লিষ্ট ম্যানেজিং কমিটি।দূর্নীতি, স্বজন পোষণ থেকে মুক্তি পেতে তৈরী করা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই কমিশনের মাধ্যমে রাজ্যের স্কুল ও মাদ্রাসাগুলিতে দীর্ঘদিন নিয়োগের পর মাদ্রাসা গুলোর জন্যে আলাদা ভাবে তৈরি হয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ২০০৮ সালে। কয়েক বছর নিয়োগের পর কাঁথি রহমানিয়া ও কয়েকটি হাই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি হাইকোর্টে মামলা করে নিয়োগ ক্ষমতা ম্যানেজিং কমিটির হাতে নিতে। মামলা হাইকোর্ট থেকে আজ সুপ্রিমকোর্টে ।
মামলায় যে পক্ষই জিতুক- দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসা গুলো শিক্ষক শূন্য।ঐ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা হিন্দু-মুসলিম মিলে প্রায় সাত লক্ষ প্রান্তিক শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা আজ অসহায়, শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। অপরদিকে আবার, কোর্টের অনুমতি নিয়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের করেছেন প্রায় চার হাজার সফল পরিক্ষার্থী।
মাদ্রাসা শিক্ষার এই অচলাবস্থায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন কবি শঙ্খ ঘোষ।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করা এক অরাজনৈতিক সংগঠন বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের পাশে দাঁড়িয়ে এক লিখিত বার্তায় তিনি বলেন, ” পশ্চিমবঙ্গে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব থেকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে সরিয়ে দেওয়ার ফলে একটা সংকট তৈরি হয়েছে বলে শুনছি। পুরোনো ব্যবস্থার ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ কয়েক হাজার মানুষ সেখানে নিযুক্ত হতে পারছেন না, কর্মহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।আর অন্যদিকে শিক্ষকের অভাবে অনেক মাদ্রাসা আজ বিপন্ন। এ অবস্থার প্রতিকারের দাবিতে এক অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন যে লক্ষ্যে আজ এই সভার আয়োজন করেছেন তাতে আমি আমার বিশেষ সমর্থন জানাই।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584