শুভশ্রী মৈত্র, কলকাতাঃ
মদ্যপ বাবার মারধর সহ্য করতে না পেরে পুড়িয়ে মেরেছেন, স্বীকারোক্তি অভিযুক্ত ২২ বছরের মেয়ের। খাস কলকাতা শহরে ঘটে গেল এই ভয়াবহ ঘটনা! ঘুমন্ত অবস্থায় বাবাকে পুড়িয়ে মারল তাঁর নিজের মেয়ে ৷ চাঁদপাল ঘাট সংলগ্ন পার্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রৌঢের জ্বলে যাওয়া দলা পাকানো দেহ ৷
পুলিশের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত মেয়ে ৷ পুড়ে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ আঢ্য (৫৪) ৷ বাড়ি তোপসিয়ার ক্রিস্টোফার রোডে।
চাঁদপাল ঘাট সংলগ্ন পার্কের ধারে পড়ে থাকা পোড়া মাংসপিণ্ড দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নর্থ পয়েন্ট থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে এবং তদন্তে নামেন পুলিশ আধিকারিকরা। জানা যায়, মৃত্যুর আগে মেয়ে পিয়ালীর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন বিশ্বনাথ বাবু। স্থানীয় বাসিন্দারাই একথা জানান পুলিশকে।
আরও পড়ুনঃ শস্য সংগ্রহের কন্টেনারে আটকে শ্বাসরোধ হয়ে প্রাণ গেল ৫শিশুর
এরপর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ ৷ বিশ্বনাথ বাবুর মেয়ে পিয়ালীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জেরায় ২২ বছরের মেয়ের বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেরায় পিয়ালী জানিয়েছেন, ডিভোর্সের পর বাবার কাছেই থাকতেন তিনি ৷ কিন্তু মদ্যপ বাবা তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করতেন এমনটাই পুলিশকে জানিয়েছেন পিয়ালী ৷ বাবার নিয়মিত মারধর সহ্য করতে করতে একসময় সহ্যের সীমা অতিক্রম করে পিয়ালির। এরপরই বাবাকে খুন করার পরিকল্পনা করেন তিনি ৷ চাঁদপাল ঘাট সংলগ্ন পার্কে নিয়ে গিয়ে বাবাকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মেরে ফেলেন পিয়ালী৷ ঘটনার বিভৎসতায় কেঁপে উঠেছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরাও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584