নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
উত্তর প্রদেশের হসরাতে সপ্তাহদুয়েক আগে গণধর্ষণের শিকার হন বছর ১৯-এর এক তরুণী। মেরুদণ্ড ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গে মারাত্মক ক্ষত নিয়ে তিনি ভর্তি হন উত্তরপ্রদেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
টানা ১৩ দিন আইসিসিইউতে থাকার পর সোমবার তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ সকালে থেমে গেলো সব লড়াই।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজের গ্রামেরই এক নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে তরুণীর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। উল্লেখ্য, নির্যাতিতা তরুণী একজন তফশিলী জাতিভুক্ত। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনই উচ্চবর্ণের , গ্রেফতার করা হয়েছে সকলকেই। ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বারবার আমফান ক্ষতিপূরণের রিপোর্ট চেয়েও না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট
তরুণীর মা জানিয়েছেন, ওই সময় তিনি ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলের খুব কাছেই ছিলেন তিনি। তবে, মেয়ের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাননি, শুনতে পেলে হয়তো বাঁচানোর চেষ্টা অন্তত করতে পারতেন।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণের ঝুঁকি জানিয়েও দুষ্কৃতী গুলিতে নিহত শ্রীনগরের আইনজীবী
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ও ধৃত সন্দীপ এলাকার দলিতদের হামেশাই এভাবে বিরক্ত করে থাকে। বছর কুড়ি আগে সন্দীপের দাদু এই তরুণীর আত্মীয়দের বিরক্ত করার অভিযোগে তিন মাস জেল খাটে।
তরুণীর ভাই জানিয়েছেন, সমাজের উচ্চবর্ণের হওয়ায় প্রয়াশই মদ্যপ সন্দীপের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ হয়, কিন্তু এর আগে কেউ সাহস করে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়নি। পুলিশের তদন্ত ও সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবার। এই ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের নারী নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জাতপাতের বিদ্বেষ আবারও প্রশ্নের মুখে দাঁড়ালো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584