শ্যামল রায়, কালনাঃ
স্ত্রীকে মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে নাদন ঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে মৃত বধূর নাম শেফালী বৈরাগ্য মন্ডল(২২)।
বাড়ি নাদনঘাট থানার নশরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপীনাথপুর গ্রামে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর বাবা দিলীপ মন্ডল। অভিযোগ করা হয়েছে স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত স্বামীর নাম প্রসেনজিৎ বৈরাগ্য, বয়স বয়স ৩২, শ্বশুরের নাম রঞ্জিত বৈরাগ্য(৫৫), শাশুড়ির নাম মালবতী বৈরাগ্য (৪৮)। সকলের বাড়ি গোপীনাথপুর গ্রামে। বাকি অভিযুক্তরা পলাতক।
আরও পড়ুনঃ বন্ধ দোকানে আগুন, ক্ষতি লক্ষাধিক
মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের কারী নবদ্বীপ থানার ফরেস্টডাঙ্গার বাসিন্দা মৃত বধূর বাবা দিলীপ মন্ডল জানিয়েছেন ৪ বছর আগে নাদনঘাট থানার গোপীনাথপুর গ্রামে হোটেলের কর্মী প্রসেনজিৎ বৈরাগ্যর সাথে বিয়ে হয়। দিলীপ মন্ডল জানিয়েছেন বিয়ের সময় দামি আসবাবপত্র, সোনার গহনা এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দিয়েছিলেন।
অথচ বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে নানান ধরনের অশান্তি লেগেই থাকত। মেয়ে শেফালী বৈরাগ্য সোমবার মৃত্যুর আধঘন্টা আগে বাবাকে ফোন করে জানিয়েছিল তার আর বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না। বাড়ির লোকেরা পরিকল্পিতভাবে খুন করতে পারে, তোমরা তোমাদের নাতিকে নিয়ে যেও।
ফোনের কয়েক ঘন্টা পরে দিলীপ বাবুকে প্রতিবেশী একজন ফোন করে জানায় তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখেন মেয়েকে মারধর করে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। গোটা ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়ে মৃত্যুর তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগকারী মেয়ের বাবা
দিলীপ মন্ডল আরও জানিয়েছেন যে বিয়ের পর মাঝেমধ্যেই আরও অতিরিক্ত পণ চেয়ে মেয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করত এবং কিছুদিন আগে আরো ১০ হাজার টাকা জামাইকে দেয়াও হয়েছিল। মেয়ের দুই বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। নাদন ঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছে মৃতদেহটি মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584