সমর্পিতা বন্দোপাধ্যায়, ওয়েবডেস্কঃ
একটা ছবি হাজার কথা বলে। সাম্প্রতিক কালে এই ধরনের অনেক ছবি যা সেই সময়ের ঘটে যাওয়া ঘটনার দলিল হয়ে যায়, অনেক তথ্য বিতর্ক বিশ্লেষণের উর্ধে উঠে নীরব সেই ছবিই মূর্ত করে তোলে সমস্যার গভীরতাকে। লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর থেকে দেশের প্রাত্যহিক মজুরিতে খেটে খাওয়া লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের দুর্দশা বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দুতে আসে।
বিতর্ক শুরু হয় মহামারি পরিস্থিতি সরকারি নাগরিকের প্রতি দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেনা। বন্ধ কাজ, দুর্বিষহ দারিদ্র অনাহারে শহর ছেড়ে হাঁটা পথে গ্রামের দিকে রওনা শ্রমিকের যন্ত্রণার মূর্ত প্রতিরূপ হয়ে গেল সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত “কান্নায়” ভেঙে পড়া এক পরিযায়ী শ্রমিকের ছবি।
তাঁর কাহিনী যা ভারতবর্ষকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই ছবি যেন পরিযায়ী শ্রমিকের প্রতি সরকারি ব্যর্থতার মূর্ত প্রতীকের দলিল হয়ে গেল। মানুষটি শুধুমাত্র তার মরণাপন্ন ছেলেটিকে একটি বারের জন্য চোখের দেখা দেখতে চায়। প্রকাশিত হওয়া ছবিটি যা ভালো করে দেখলে বোঝাই যাচ্ছে কতটা কষ্টে,ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অসহায় এই মানুষটি।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরের দোদা জেলায় এনকাউন্টারে ২ জঙ্গি ও ১ জওয়ান নিহত
রাস্তার ধারে রামপুকুর পণ্ডিত নামের এই পরিযায়ী শ্রমিক বসে অঝোরে কাঁদছিলেন,ঠিক তখনি PTI এর চিত্রসাংবাদিক অতুল যাদব এই মানুষটির ছবি তোলেন তার কিছুক্ষন পরেই বিভিন্ন পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়..অতুল যাদব এই পরিযায়ী শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে দিল্লী থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দূরে বিহারের বেগুসারাই বোরিয়াপুর নামক জায়গাতে তার বাড়ি।
তিনদিন ধরে হেঁটে সে নিজামুদ্দিন ব্রিজে আসলে পুলিশ তাকে আটকে দেয়। ঘরে তার মরানাপন্ন ছেলেকে দেখার জন্য সে এতটা পথ হাঁটা দিয়েছিলেন। পরে চিত্রসাংবাদিকের সাহায্যে পুলিশের তৎপরতায় ভাইরাল হওয়া এই মানুষটি শেষ অবধি নিজের বাড়ি বিহারে ফিরতে পারলেন ঠিকই কিন্তু যার জন্য এতো চেষ্টা তার নিজের ছেলেটিকে শেষ দেখা আর দেখতে পেলেন না তিনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584