নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার জহাট গ্রামের মৃত পরিযায়ী শ্রমিক সুদর্শন মন্ডল সহ ৩৫ জন গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের একটি হোটেলে কাজের জন্য। লকডাউনের জেরে বন্ধ ছিল কাজ, আটকে পড়েছিলেন পিংলার এই ৩৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক। টাকাও শেষ। অবশেষে খেতে না পেয়ে নিজেদের গ্রামে খবর দেয় এইসব পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাসের ব্যবস্থা করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়। পাঠানো হয় একটি বাস। ২৪ তারিখ বাস রওনা দেয় মহারাষ্ট্র থেকে। কিন্তু শেষমেশ সুদর্শনের ফেরা হল না বাড়ি। গতকাল সকালেই বাসের মধ্যেই অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। এরপরে জ্ঞান হারিয়ে বাসের মধ্যেই পড়ে যায় সুদর্শন মন্ডল। শরীরে জ্বর থাকায় তাকে ওষুধ দেয় তার সহকর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ নবদ্বীপ পুর এলাকায় করোনায় আক্রান্ত এক যুবক
এরপর বিহারের কাছে দুপুরে নেমে খাওয়া-দাওয়া করে আবার বাস রওনা দেয়। এরপর গতকাল সন্ধ্যেবেলায় উড়িষ্যার বহড়াগুড়ার কাছে এসে আবার লুটিয়ে পড়েন সুদর্শন মন্ডল। সহকর্মীরা বাড়িতে ফোন করে জানায় আর নেই সুদর্শন। পিংলায় খবর পৌঁছাতে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
বাস ভোরবেলা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এসে পৌঁছেছে। এরমধ্যে সুদর্শন সহ বাকি যে পরিযায়ী শ্রমিকরা রয়েছেন তাদের লালারস টেস্ট করে তারপরেই দেহ ফেরানো হবে তার গ্রামে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সুদর্শন নানান রোগে ভুগছিলেন এবং থ্যালাসেমিয়া পেশেন্ট ছিলেন। ঠিক কি কারণে মৃত্যু তা জানা যায়নি। তার ময়নাতদন্ত করা হবে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584