মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
‘মা’। একটা ছোট শব্দ, কিন্তু কি বিশাল তার পরিধি। পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম শব্দ ‘মা’, যে শব্দের মধ্যে পৃথিবীর সকল সুখ-শান্তি, আনন্দ, ভালোবাসা এবং সকল মায়া জড়িত। পৃথিবীতে এই একটাই একমাত্র শব্দ যে শব্দের কথা মনে করলে সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ট মুহূর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। আর মুহূর্তের মধ্যে শান্তিতে ভরে ওঠে প্রাণ।
শুধুমাত্র জন্মদাত্রীই যে ‘মা’ হন তা কিন্তু একেবারেই নয়। মা-এর কোনো ভেদ হয়না। তার প্রমাণ আবারও পেলাম আমরা। মানবতার কাছে হার মানল করোনা ভয়ও। করোনা আবহে যখন একের পর এক মা আক্রান্ত হচ্ছেন এই মারণ ভাইরাসে। যখন সন্তানহারা মায়ের হাহাকারে দিন কাটাচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ। ঠিক এমন একটা সময়ে অন্য মায়ের রূপ ধরা পড়ল এক করোনাযোদ্ধার মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ হোয়াইট হাউজ ঘিরে বিক্ষোভ, মাটির তলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প!
এক সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করাতে যখন কেউ রাজি হচ্ছেন না ঠিক তখনই এগিয়ে এলেন আরজিকর-এর এক তরুণী নার্স। তিনি নিজেও কিছুদিন আগে মা হয়েছেন। কাজে যোগ দিয়েছেন লকডাউন শুরুর সামান্য আগে। বৃহস্পতিবার জন্ম নেওয়া ওই শিশুটি সেদিন রাতে দুধের জন্য ছটফট করছিল। সি সেকশন করে সন্তানের জন্ম দেওয়া তার মা-এর পক্ষে তখনই তাকে দুধ খাওয়ানো সম্ভব ছিল না। এইরকম পরিস্থিতিতে হাসপাতালে সদ্য মা হওয়া অন্য প্রসূতিদের দিয়ে স্তন্যপান করানো হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণের ভয়ে অন্য কেউ শিশুটিকে দুধ খাওয়াতে এগিয়ে আসেননি।
সদ্যোজাতটির ওই করুণ অবস্থা দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি আর জি কর হাসপাতালে নার্স উমা অধিকারী। তিনি জানান, করোনা সংক্রমণের থেকে তখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল এক ফোটা দুধের জন্য সদ্যোজাত শিশুর আকুতি। সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করেই তিনি শিশুটিকে দুধ খাওয়ান বলে জানিয়েছেন।
শিশুটিকে স্তন্যপান করানোর সময় একটি সেলফি তোলেন উমা। সেই ছবি সমেত এই ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়ে, মূলত স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ সহ একটি ফেসবুক পোস্ট করেন তাঁর স্বামী শান্তনু মাইতি। তিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ছবিটি পোস্ট করার পর নিমেষের মধ্যে সেই পোস্ট ভাইরাল হয়। কুর্ণিশ জানান নেটদুনিয়ার হাজার হাজার মানুষ। মুহূর্তে শেয়ার হতে থাকে পোস্টটি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584