আনিসুর রহমান, কোলকাতা
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের দ্বিতীয় SLST পাশ করে চাকুরী পাওয়া আরবি শিক্ষকরা এবার বেতন ফেরত দেওয়ার মত গম্ভীর সমস্যার সম্মুখীন।তাদের কাছ থেকে এবার বেতনের অতিরিক্ত টাকা ফেরত চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে ডিরক্টরেট অফ মাদ্রাসা এডুকেশন দপ্তরের তরফ থেকে।
ঐ বছর আবেদন করা আরবি ভাষা ও থিওলজি বিভাগের প্রার্থীদের সামনে অনার্স ও পিজি’র কোন অপশন ছিলনা। তাই তারা পাশ ক্যাটেগরিতেই বসতে বাধ্য হয়।পরে,২০০৯ সালে ৩১ শে জানুয়ারি ১৫০ এমডি অর্ডার পাশ করা হয়।যার ফলশ্রুতিতে ঐ শিক্ষকদের পিজি’র সমতূল্য বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু ২০১০ সালে ৩১ শে মার্চের ৫৬০এমডি অনুযায়ী মাদ্রাসা পর্ষদের মাধ্যমে পাশ করা শিক্ষকদের পিজি হিসেবে ধরা নিষিদ্ধ হয়। এই দুই বারের দুই নোটিশেই সমস্যার সৃষ্টি । ১৫০এমডি-কে সামনে রেখে অনেক শিক্ষক পিজি স্কেলের বেতন পেতে শুরু করেন। অনেকে পাননি।যেমন উ: চব্বিশ পরগনার দারুসসালাম সিনিয়র মাদ্রাসার আরবি থিওলজি বিভাগের শিক্ষক সামসুল আলমও একই বেতন দাবি করলে বসিরহাটের এডিআই ৫৬০এমডি কে সামনে রেখে উচ্চ বেতনক্রম দিতে অস্বীকার করেন।এবার মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর গত ৩রা মে নোটিশ জারি করে ৫৬০এমডি কে কার্যকর করার।বীরভূমের ডিআই সেই নোটিশ অনুযায়ী মেটেকোনা সিনিয়র মাদ্রাসার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়ে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন।তাঁঁকে নাকি কয়েক লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে।সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এতেই মাদ্রাসার আরবি শিক্ষকদের একাংশের মাথায় হাত। কারণ এই আওতায় পড়তে চলেছেন রাজ্যের আরবি শিক্ষকদের এক বৃহৎ অংশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584