পুলিশী তৎপরতায় ইসলামপুরে রক্ষা পেল দুটি জীবন

0
38

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ

ইসলামপুর থানার পেঁয়াজ পোখরের বাসিন্দা মুক্তার আলমের স্ত্রী এবং তিন সন্তান থাকা সত্ত্বেও বছর দুয়েক আগে করনদিঘি থানার রসাখোয়া গ্রামে সাবিনা খাতুন নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ বাধে দ্বিতীয় স্ত্রীর। সন্তান সম্ভবা অবস্থায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে তারা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

Police helped | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

ইসলামপুর থানার আশ্রমপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোনক্রমে দিনগুজরান করছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা খাতুন। তার স্বামী মুক্তার আলম ভরণপোষণের খরচ না দেওয়ায়, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সাবিনা। এরই মধ্যে সে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।

Helping | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ ফোনে চিকিৎসা শুরু

এক সদ্যজাত সন্তান এবং নিজের খাবার জোগার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে তার কাছে।স্বামীর কাছে টাকা চাইতে গেলে জোটে মার। ফের টাকা চাইতে গেলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে তার দিনগুজরান করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই স্বামী মেরে ফেলার আগে নিজেই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা নেয় সাবিনা।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসলামপুর থানার কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ঘোরাফেরা করছিল সাবিনা। লকডাউনের মধ্যে ফাঁকা রাস্তায় এক মহিলাকে ঘোরাফেরা করতে দেখে ইসলামপুর থানার পুলিশের সন্দেহ হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই আসল তথ্য উঠে আসে।পুলিশ তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে বাড়িতে রেখে আসে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here