করোনার রিপোর্ট আনতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীর লালসার শিকার কেরলের মহিলা

0
42

ওয়েব ডেস্ক, মালাপ্পুরমঃ

কেরলে স্বাস্থ্যকর্মীর যৌন লালসার শিকার হলেন বছর চুয়াল্লিশের এক মহিলা। কোভিড টেস্টের রিপোর্ট আনতে গেলে, তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা ওই মহিলা। তিনি করোনা থেকে সদ্য সেরে উঠেছিলেন। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলও নেগেটিভ এসেছিল তাঁর। অভিযোগ, স্বাস্থ্য আধিকারিকের বাড়িতে সেই সংক্রান্ত শংসাপত্র আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন তিনি।

Sexually harass | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

নিগৃহীতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৭ সেপ্টেম্বর, সোমবার ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জুনিয়র হেলথ ইনস্পেক্টর।

কোভিড কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার মধ্যরাতে বছর ১৯-এর এক যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। কেরালার পথনমথিট্টা জেলার পন্ডলমের এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সোমবার দ্বিতীয় ধর্ষণের অভিযোগটি দায়ের হয়েছে পানগোড থানায়।

আরও পড়ুনঃ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর বাড়িতে আয়ার কাজ করে সংসার চালান নিগৃহীতা। বাড়ি কুলাথুপুঝায় হলেও জীবিকার প্রয়োজনে তাঁকে থাকতে হয় মালাপ্পুরমে। দিন কয়েক আগে তিনি কুলাথুপুঝার বাড়ি থেকে ফেরায়, জুনিয়র হেলথ ইনস্পেক্টর তাঁকে দু-সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেন। নিয়ম মতো তাঁর নমুনা কোভিড টেস্টেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ স্যানিটাইজেশন টানেল ক্ষতিকারক, সুপ্রীম কোর্টে জানালো কেন্দ্র

দু-দিন পর অ্যান্টিজেন টেস্ট নেগেটিভ এসেছে জানিয়ে, অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী রিপোর্টটি তাঁর বাড়ি থেকে সংগ্রহ করতে বলেছিলেন মহিলাকে। বছর চুয়াল্লিশের মহিলা ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়িতে গেলে তাঁর হাত-পা-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘মহিলার শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

থানায় এফআইআরের সূত্রে সোমবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, মহিলা কমিশনও পৃথক ভাবে ওই স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। অভিযুক্ত হেলথ ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেরলের স্বাস্থ্য সচিবকে।

দু’টি ধর্ষণের মামলা প্রকাশ্যে আসার পর কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা বলেন, রাজ্যের জন্য এই দু’টি ঘটনা লজ্জার। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগে যে খামতি রয়েছে, পরপর এই দু’টি ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here