নিউজফ্রন্টঃ
একদিকে পঞ্চায়েত ভোট অন্যদিকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন নিয়ে শুনানি; দুটো মামলাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। একটি মামলার মোটামুটি দিশা পাওয়া গেলেও, আর একটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। সেটা মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পাশ করা প্রায় চার হাজার চাকুরী প্রার্থীদের আবেদন; কমিশনের মাধ্যমে তাদের দ্রুত নিয়োগের। আবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পাশ করা সেই চাকুরী প্রার্থীদের নিয়োগের অনুমতি চেয়েছে রাজ্যের ১৪৮ টি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি। সেই আবেদন আগামী মঙ্গলবার শুনবে বলে জানা গেছে।
লড়াইটা যেন যেন রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দু -একটি ম্যানেজিং কমিটি বনাম সারা রাজ্যের বাকি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি, চাকুরী প্রার্থী,মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ও রাজ্য সরকারের।তাই এই লড়াইয়ে এবার সারা রাজ্যের ভূক্তভোগী মাদ্রাসা গুলো এগিয়ে এল।কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ চেয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা ১৪৮ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির বক্তব্য কমিশনই একমাত্র দিতে পারে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ।
উল্লেখ্য, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ও মাদ্রাসা পর্ষদের বিরুদ্ধে মামলা করে কাঁথির দুটি মাদ্রাসা।এখন সেই মামলা নিয়েই ভোটের আগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে আবার গ্ৰামীন ডাক সেবক পরীক্ষায় আবেদন না করতে পেরে ক্ষুব্ধ মাদ্রাসা পাশ করা মাধ্যমিক সমতুল্য পরীক্ষার্থীরা।এই নিয়ে মুসলিম সহ বিভিন্ন শিক্ষা মূলক সংগঠনগুলোও প্রতিবাদে মূখর।যাইহোক প্রায় হিন্দু-মুসলিম মিলে প্রায় সাত লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে।
এমতাবস্থায়, আজ সুপ্রিমকোর্টে অরুন মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে কমিশনের মামলার শুনানি হয় কোর্ট বন্ধ হওয়ার ঠিক আগের মূহুর্তে। সেই স্বল্প সময়ের মধ্যেই ১৪৮ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি ও চার হাজার চাকুরি প্রার্থী মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের আবেদন করে রাজু রামচন্দ্রন ও অন্যান্য আইনজীবীর মাধ্যমে।এরপরই রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চান বিচারপতিগণ। রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে তাদের কোন আপত্তি নেই।কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ায় কাঁথির ম্যানেজিং কমিটি।তাদের আইনজীবী আদালতকে জানান-সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগে তাদের আপত্তি আছে- আজ সিনিয়র আইনজীবী নেই, তাই এই আবেদন অন্যদিন শোনা হোক। তাই, সেই আবেদন সুপ্রিমকোর্ট বিবেচনা করবে আগামী মঙ্গলবার । অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক পরের দিন। এবিষয়ে কাঁথি রহমানিয়ার হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী আবু সোহেল আমাদের নিউজফ্রন্ট প্রতিনিধিকে জানান যে ফাইনাল হেয়ারিং চলাকালীন এইরকম আবেদনের বিরোধিতা করা হবে আগামী মঙ্গলবারও।
আবার, নাম জানাতে অনিচ্ছুক কমিশন পাশ করা এক চাকুরী প্রার্থী নিউজফ্রন্ট প্রতিনিধিকে জানান
‘মা পর্যন্ত গয়না বেঁচে টাকা দিয়েছে।এর শেষ দেখেই ছাড়বো।’
(ছবি-সংগৃহীত)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584