পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
ভোট শুরু হতেই বীরভূম ঘিরে আসতে শুরু করে একাধিক অভিযোগ, কোথাও ইভিএম খারাপ,কোথাও বুথ জ্যাম, আবার কোথাও বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা।নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের পাচন থেকে নকুলদানা দাওয়াই নজরে এলো বীরভূমের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে।
কোথাও বিরোধীদের এজেন্টকে মারধর করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল।কোথাও চলল ছাপ্পা।কোথাও আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূলের ছাপ্পা বাহিনীকে হঠাতে শূন্যে গুলি চালাল।নানুর থেকে শুরু করে মুরারই সর্বোচ্চ চলল তৃণমূল কর্মীদের দাপাদাপি। অবশ্যই তা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই অনুব্রত মণ্ডলের।তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, নকুলদানা কাজ করেছে। নির্বাচন কমিশনের নজরবন্দি কে তোয়াক্কা না করেই দলীয় কার্যালয় থেকে একের পর এক ফোন করে কখনো প্রিজাইডিং অফিসার,কখনো দলীয় কর্মীদের দিলেন ধমক।
বেলা যত গড়ালো ততো তৃণমূলের সভাপতি কর্মীদের নির্দেশ দিলো ৯০ শতাংশের বেশি যেন কোথাও ভোট না পরে।অনুব্রত মণ্ডলের এই দাপাদাপি নিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট বিজেপি নেতারা। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফ এ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে বীরভূমের সমস্ত বুথে ফের নির্বাচন করা হোক। পরম সোমবার যে নির্বাচন হয়ে গেল তা পুরোটাই ছিল প্রহসন। মানুষ সুষ্ঠুভাবে কোথাও ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন কমিশন পুরো ব্যর্থ হয়েছে।কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও ভুতের পর্বতে কিভাবে তৃণমূল কর্মীরা ভোট লুট করল সে নিয়ে ইতিমধ্যে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।সাঁইথিয়া,নানুর, মল্লারপুর,সিউড়ি,দুবরাজপুর সহ বেশ কিছু বিধানসভা এলাকায় নির্বিঘ্নে তৃণমূল কর্মীরা ছাপ্পা দিয়ে গেছে। বিজেপি দাবি করে বুকের কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও বাইরে রাজ্য পুলিশ দায়িত্ব ছিল।তৃণমূলের সঙ্গে আটঘাট বেঁধে রাজ্য পুলিশ ভোটারদের রীতিমতো ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দান করেছে।
রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার সাফ জানিয়ে দেন, বীরভূমে যে ভোট হয়েছে সেটা অনুব্রত মণ্ডলের ভোট হয়েছে, সাধারণ মানুষের ভোট হয়নি। অন্যদিকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বীরদর্পে জানিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশনের নজর বন্দি বিধিনিষেধ তিনি তোয়াক্কা করেন না।শনিবার নজরবন্দি হওয়ার পরেই অনুব্রত মণ্ডল বলে দিয়েছিলেন সোমবার সকাল থেকেই বীরভূম জুড়ে চলবে নকুলদানা বিলি।
আরও পড়ুনঃ এক বুথের পুন নির্বাচনে হাজির পরেশ-নিশীথ
এ যেন অনেকটা হীরক রাজার নির্দেশ,যাই হয়ে যাক না কেন দলের সভাপতির কথা অমান্য করলে ঘরে গর্দান থাকবে না তা জানে প্রতিটা তৃণমূল কর্মী।তাই জোর করে ভোট লুট থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখানো কোন কিছুতেই খামতি রাখেননি সভাপতিকে খুশি করার জন্য তৃণমূল কর্মীরা।বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বাসু জানিয়ে দেন,যেসব অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েছিল সেই সব অভিযোগের সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584