পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
কাটমানির দায়ে অভিযুক্ত রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অনীল ভুঁইমালী।রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তর অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অনীল ভুঁইমালী দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্নরকম উন্নয়নমূলক কাজ থেকে শুরু করে কর্মী নিয়োগ ও ডিগ্রী প্রদানের ব্যাপারে লক্ষ লক্ষ টাকার কাটমানির সাথে যুক্ত।উপাচার্য্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই কয়েকজন শিক্ষক ও আধিকারিকদের নিয়ে এই সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন বলে বিধায়ক অভিযোগ জানিয়েছেন।
আগামী অধিবেশনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আর্থিক দূর্নীতির বিষয়টি বিধানসভাতেও উত্থাপন করা হবে বলে মোহিত বাবু জানান।
অভিযোগের পাল্টা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগের প্রমান দাখিল করার জন্য ৩ দিনের সময় দিয়ে বিধায়কের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।বিধায়কের থেকে জবাব আসার পরেই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে কাটমানির প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আন্দোলন শুরু করা হয়েছে।বুধবার এই মর্মে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের দপ্তরে স্মারকলপিও জমা দেওয়া হয়েছে।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত অভিযোগ তুলেছেন, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক দূর্নীতি চলছে।স্বয়ং উপাচার্য্য অনীল ভুঁইমালী সরাসরি এই আর্থিক দূর্নীতির সাথে সাথে যুক্ত।
মোহিত সেনগুপ্ত অভিযোগ করেছেন,“রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য সরাসরি কাটমানির সাথে যুক্ত।তার আমলে বিভিন্নরকম বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।সেখানে টেন্ডার পদ্ধতি না মেনে লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানির বিনিময়ে বরাত দেওয়া হয়েছে।উপাচার্য্য নিজে কয়েকজন শিক্ষক, কতিপয় ছাত্র নেতা ও কয়েকজন আধিকারিককে নিয়ে এই দূর্নীতি চালাচ্ছেন।এর পাশাপাশি নিয়মবর্হিভূতভাবে টাকার বিনিময়ে ভর্তি,গবেষনার সুযোগ এসব ব্যাপারেও এই সিন্ডিকেট চালিয়ে দূর্নীতি করে যাচ্ছেন।এর সব প্রমান আমাদের কাছে রয়েছে।এই কাটমানির অর্থ ফেরত দেবার জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে আমি কোনও চিঠি এখনও পাইনি।চিঠি এলেও আমি তা রিসিভ করবো না।কারন একজন বিধায়ককে এই ধরনের চিঠি পাঠানোর কোনও এক্তিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই।’’
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অনীল ভুঁইমালী জানিয়েছেন,“ বিধায়কের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ধরনের আর্থিক দূর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।সবকিছুই সরকারি নিয়ম মেনে করা হয়েছে।বিধায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানি করেছেন।তার তোলা অভিযোগগুলির প্রমান দাখিল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিধায়ককে চিঠি পাঠিয়েছে।ওই চিঠিতে তাকে ৩ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দাবিমত টাকা না দেওয়ায় ধারাল অস্ত্রের কোপ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে
ওই সময়ের মধ্যে বিধায়ক তার জবাব না দিলে অথবা বিধায়কের জবাব সন্তোষজনক না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল জরুরী মিটিং ডেকে পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।প্রয়জনে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও দায়ের করা হতে পারে।’’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584