উপপ্রধান হয়ে শপথ নিয়ে খুনের মামলায় ফেরার অভিযুক্ত গ্রেফতার

0
103

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

বোর্ড গঠনের পরেই খুনের মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের এক উপ প্রধানকে গ্রেফতার করল পুলিশ।আজ কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের রাজারহাট টাকাগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মীর মহির উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পরেই কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।তবে এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন নেতা মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
টাকা গাছ এলাকায় এক মাংস বিক্রেতা খুন হওয়ার ঘটনায় দীর্ঘদিন থেকে পুলিশের খাতায় পলাতক হিসেবে ছিলেন মীর মহিরুদ্দিন নামে ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।

গ্রেফতার অভিযুক্ত। নিজস্ব চিত্র

পুলিশের খাতায় পলাতক থাকলেও ওই নেতা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।শুধু তাই নয়,তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করে জয়ী হন।পঞ্চায়েতে জয়ের পরেই বিভিন্ন মহল প্রশ্ন উঠতে শুরু করে,একজন পলাতক অভিযুক্ত কি করে পঞ্চায়েতে প্রার্থী হলেন? ওই প্রশ্ন তুলে কোচবিহার শহরে জেলা শাসকের দফতরের সামনে পোস্টার টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়।এর তার পরেই গা ঢাকা দেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মীর মহিরুদ্দিন।এদিন কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের রাজারহাট –টাকাগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ছিল।বোর্ড গঠন শুরুর আগ মুহূর্তে দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের মূল কক্ষে ঢুকে যান তিনি। সেখানে তাঁকে উপ প্রধান নির্বাচন করা হয়।বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষ হতেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে।
রাজারহাট-টাকাগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ টি আসন রয়েছে।এর মধ্যে এবার নির্বাচনে ১৯ টিতে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়।বাকি দুটিতে বিজেপি প্রার্থীরা জয় পান।এদিন বোর্ড গঠনে মীর মহিরুদ্দিনের অনুগামী বলে পরিচিত মিনা সিনহাকে প্রধান এবং তিনি নিজে উপপ্রধান নির্বাচিত হন। কিন্তু এক জন অভিযুক্ত পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়া থেকে উপ প্রধান কি করে হন, সেটা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ খননকার্যেই শেষ,অবহেলার অন্ধকারে বৌদ্ধ স্তূপ

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here