পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
পুলিশ অফিসার অমিত চক্রবর্তী খুনের ঘটনায় বিচারাধীন অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পেল।২০১৪ সালে বীরভূমের দুবরাজপুরে পুলিশ অফিসার অমিত চক্রবর্তী খুন হন।
খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দেড় ডজন অভিযুক্ত।আটচল্লিশ জনের নামে এফ আই আর হয়,কিন্তু গ্রেফতার মাত্র একুশ।সেই মামলা চলতে থাকে।চলতে চলতে ২০১৮ সালের শেষের দিকে আজ ১৯শে নভেম্বর এই মামলার রায় দান করে বীরভূম জেলা আদালত।মামলায় অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়।রায়দান পর্ব শেষে আদালতের বিচারক আঠারো জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট বিচারক এবং মৃত অফিসারের স্ত্রী।
২০১৪ সালের ৩রা ডিসেম্বর বীরভূমের দুবরাজপুর থানার গোপালপুর আউলিয়া গ্রামে একশো দিনের কাজকে কেন্দ্র করে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।পরিস্থিতি সামাল দিতে দুবরাজপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর অমিত চক্রবর্তী বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।বোমের আঘাতে গুরুতর জখম হন অমিত চক্রবর্তী।তাঁকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরে ২৪শে জুলাই দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আটচল্লিশের জনের নামে মামলা রুজু করে। পরে পঞ্চাশ জনের নামে চার্জশিট পেশ করে।সেই মামলায় পুলিশ তৎকালীন দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ তৃণমূল নেতা শেখ আলীমসহ শেখ ইসমাইল,শেখ আব্দুল সহ কয়েকজন সিপিএম নেতার নামেও মামলা রুজু করা হয়। সে ঘটনায় পুলিশ মাত্র একুশ জনকে গ্রেফতার করে।অভিযুক্ত একুশ জনের মধ্যে বিচার চলাকালীন দুজনের মৃত্যু হয় এবং একজন অভিযুক্ত অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার মামলা জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়।
সোমবার সিউড়ি জেলা আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি সোমেশচন্দ্র পাল এই মামলার রায়দান করেন।মামলায় অভিযুক্ত আঠারো জনকে বেকসুর খালাস করেন বিচারপতি।এর সঙ্গে তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন,দায়সারা করে ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে।রায় দেন প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী বলেন,”অমিত চক্রবর্তী খুনের ঘটনায় আজ রায়দান হয়েছে। বিচারক বলেছেন যে তদন্ত সঠিকভাবে হয়নি এবং যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবের কারণে সমস্ত অভিযুক্তদের নির্দোষ ঘোষণা করছেন।”
অন্যদিকে মৃত পুলিশ অফিসার স্ত্রী পুতুল চক্রবর্তী পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি বলেন, “তদন্ত সঠিক ভাবে হয়নি সেটাই প্রথম থেকে জানি।হয়তো নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য বা কোনো চাপের কারণে পুলিশ সঠিক তদন্ত করেনি।”সরকারী আইনজীবী তপন চক্রবর্তী বলেন বিচারক রায় দেবার সময় বলেছেন এই তদন্ত এুটিপূর্ন রয়েছে,পুলিশ এই খুনের ঘটনা ঠিক ভাবে তদন্ত করেনি। বীরভূমের পুলিশ সুপার কুনাল আগরওয়াল বলেন,উচ্চ আাদালতে যাবার ভাবনা আছে।
আরও পড়ুনঃ ডিএসপিকে ঘেরাও এর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584