নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
বৃহস্পতিবার গুজরাট হাইকোর্টের সমূহ তিরস্কার রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, সরকার যদি কিছু উদ্যোগী হত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতা এড়ানো যেত। গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিক্রম নাথ, এডভোকেট জেনারেল কমল ত্রিবেদীকে বলেন যে, সরকার কিছুই করেনি এমন নয় কিন্তু সে পদক্ষেপগুলি যদি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়ার আগে নেওয়া হতো তাহলে পরিস্থিতি এখনকার থেকে ভালো হত।
এডভোকেট জেনারেল বলেন রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ তৈরি আছে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য, প্রধান বিচারপতি সেকথা মানতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন গত বছরও সুয়োমোটো জনস্বার্থ মামলায় পরীক্ষা বাড়ানো, হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো সব নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। কিন্তু তার কোনটাই সরকার মানেনি।
আরও পড়ুনঃ একসঙ্গে শেষ তিন দফার নির্বাচন সম্ভব নয়, কমিশনের এই সিদ্ধান্তে সোচ্চার মমতা
আরো গুরুতর অভিযোগ তুলেছে আদালত, সরকারের বিরুদ্ধে। আদালত বলে, সক্রিয় করোনা রোগীর যে সংখ্যা সরকার বলছে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। আদালত এদিন নির্দেশ দিয়েছে, আদালতের যেসমস্ত কর্মীর বাড়িতে আইসলেশনে থাকার মত পরিস্থিতি নেই, কোর্টের একাডেমি ও অডিটোরিয়াম হলগুলি তাঁদের আইসলেশনে রাখার জন্য ব্যবহার করার। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে আইসলেশনে যাঁদের রাখা হবে তাঁদের খাবার এর ব্যবস্থা রাজ্যকেই করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ অতিমারি পরিস্থিতিতে NEET-PG ২০২১ পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার
এদিনের শুনানিতে অনেকটা সময় কোর্ট ব্যয় করে ‘রেমডিসিভার’ প্রসঙ্গে। পর্যাপ্ত পরিমাণে রেমডিসিভার , করোনা পরীক্ষা, হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড এবং সিটি স্ক্যান এর ব্যবস্থা রাজ্য জুড়ে রাখতে হবে সরকারকে এবং তা অবিলম্বে। সবমিলিয়ে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আদালতের নির্দেশে বেশ চাপে পড়েছে গুজরাট সরকার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584