নিউজ ফ্রন্ট ডেস্কঃ
বাস্তারের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী জীবন কাটানো নিরপরাধ আদিবাসীদের মুক্তির দাবীতে সোচ্চার আদিবাসী আন্দোলনের মুখ সোনি সোরিকে আজ (৫ই অক্টোবর শনিবার) গ্রেপ্তার করল দান্তেওয়ারা পুলিশ।
জেলবন্দী আদিবাসীদের অবিলম্বে মুক্তি চাই এই দাবিতে এক জন সমাবেশে বক্তব্য রাখার কথা ছিল সোরির। মঞ্চে ওঠার ঘন্টাখানেক আগে ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়ারা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। বাস্তারের নিকুলনগর গ্রামে প্রায় ৬০০০ মানুষের জমায়েৎ ছিল। বিজাপুর, সুকমা, দান্তেওয়ারার আদিবাসীরা এই প্রতিবাদ সভায় সামিল হয়েছিল। এই সভায় আদিবাসী মুক্তির দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করার আহ্বান জানানোর কথা ছিল তাঁর। আদিবাসী মহাসভার সর্বাধ্যক্ষ এবং আদিবাসী আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা মনিশ কুঞ্জম-এর উপস্থিত থাকার কথা ছিল, এমনই খবর দিয়েছেন ‘আদিবাসী সিটিজেন’- এর সাংবাদিক লিঙ্গা কোপাডির। তিনি আরও জানিয়েছেন যে আইনানুগ পদ্ধতি এবং প্রশাসনিক নিয়ম মেনেই এই প্রকাশ্য জন সভার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এই মর্মে আবেদন পত্রও জমা পড়েছিল দান্তেওয়ারা কালেক্টর এবং মহকুমা জেলাশাসকের দপ্তরে। পুলিশ এই আবেদন পত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করেনি। তাই আইন ভাঙার অপরাধে তারা গেপ্তার করে সোনি সোরিকে।
একাধারে আইনজীবী এবং আদিবাসী আধিকার কর্মী বেলা ভাটিয়া জানিয়েছেন যে সোনির নামে এখনও কোনও FIR দায়ের হয়নি। মহকুমা শাসকের সামনে সোরিকে পেশ করা হলে তাঁকে পুলিশি হেপাজত থেকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫১ এবং সেই সঙ্গে ১০৭ ও ১১৬ ধারায় যোগ করে সোরিকে আটক করা হয়েছে।
দান্তেওয়ারা পুলিশের অভিযোগ, সোনি সোরি প্রশাসনের কাছে কোন রকম অনুমতি চাননি। মহকুমা শাসকের বয়ান, নির্দিষ্ট স্থান এবং নির্দিষ্ট লোক সংখ্যারও হিসেব দাখিল হয়নি।
এই জমায়েতের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতিবাদ ধর্ণা যতক্ষণ পর্যন্ত তারা রাজনৈতিক নেতাদের সামনাসামনি হচ্ছে তাদের মুক্তির দাবি নিয়ে।
আন্দোলনকারীদের মতে, বহুদিন ধরে এই জমায়েতে সামিল হওয়া মানুষগুলোর নিরপরাধ পরিজনরা জেলে বন্দী জীবন কাটাচ্ছে। তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চান তাঁরা।
ছত্তিশগড়ের সাম্প্রতিক বিধানসভার নির্বাচনী সভায় কংগ্রেস শপথ করেছিল যদি তারা সরকার গঠন করতে পারে বাস্তারের এই পুলিশি অত্যাচার থেকে আদিবাসীদের রক্ষা করবে। তারপর ইতিহাস তৈরি করে ছত্তিশগড়ের বিগত ১৫ বছরের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার কে গদিচ্যূত করে কংগ্রেস সরকার গঠন করে।
নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল একটি নতুন কমিটিও গঠন করে যারা এই জেলবন্দী আদিবাসীদের চলতে থাকা মামলাগুলো নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবে। তাদের মুক্তির জন্য চেষ্টা চালাবে। বাঘেলের দাবি ছিল এই মামলা গুলো আসলে বিজেপির তৈরি করা মিথ্যে সাজানো চক্রান্ত।
যদিও অবাক করার মত ঘটনা হল, এই কংগ্রেস সরকারের সময়েই সব চেয়ে বেশি নিরপরাধ আদিবাসী গ্রেপ্তার হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584