নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় এক ১২ বছর বয়সী কিশোরী সহ ১৭ জন আদিবাসীকে হত্যা করা হয়, আহত হন বহু গ্রামবাসী, জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ঘরবাড়ী। সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে আদিবাসীদের ওপর হত্যালীলা চালানোর। সমাজকর্মী হিমাংশু কুমার ও গ্রামবাসীরা সরব হন অভিযোগ করেন সশস্ত্র বাহিনীর হাতেই খুন হয়েছেন আদিবাসীরা। অন্যদিকে তৎকালীন বিজেপি চালিত রমন সিং-এর নেতৃত্বাধীন ছত্তিশগড় সরকার অভিযোগ করেন এই হত্যাকান্ডের দায় মাওবাদীদের।
এই ঘটনার পরে আদালতের দ্বারস্থ হন সমাজকর্মী হিমাংশু কুমার, তদন্ত শুরু হয়। গোমপাড জেলার সীমান্তঅঞ্চল থেকে ৭টি মৃতদেহও উদ্ধার করে পুলিশ। অদ্ভুতভাবে এই মৃত্যু তদন্তের জন্য হিমাংশু কুমারের আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। উলটে সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় হিমাংশু কুমার সশস্ত্র বাহিনীর সম্মানহানি করতে ও অতিবাম উগ্রপন্থীদের সাহায্য করতে চেয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন কিনা সেবিষয়ে তদন্ত চালাতে।
আরও পড়ুনঃ সংসদে আর বলা যাবেনা দুর্নীতিগ্রস্ত , জুমলাজীবী বা নির্যাতন—অসংসদীয় শব্দের তালিকা প্রকাশ
পাশাপাশি শীর্ষ আদালত সমাজকর্মী হিমাংশু কুমারকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে যা আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং নির্দেশে এও বলা হয়েছে যে, যদি তিনি এই জরিমানার অর্থ জমা দিতে না পারেন সেক্ষেত্রে প্রশাসন হিমাংশু কুমারের বিরুদ্ধে “উপযুক্ত ব্যবস্থা” নিতে পারবে। জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,”আমি জানি আমার জেল হবে, কিন্তু জরিমানা দিলে এটা মেনে নেওয়া হবে যে আমি কিছু ভুল করেছিলাম।“
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584