শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে ৮০ টি করোনা হাসপাতালে ২৭ শতাংশ বেড থাকলেও করোনা রোগী বেড পাচ্ছেন না। যার জেরে শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে ইছাপুরের তরুণের। আর অন্যদিকে অমিতাভ বচ্চনের অসুস্থতার খবর পাওয়া মাত্রই তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সৌজন্যতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যাঁতাকলে ইছাপুরের তরুণের মৃত্যুর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত, এমনটাই দাবি তুললেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা ন্যূনতম চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া শুভ্রজিত চট্টোপাধ্যায়ের। এই বিষয়কে সামনে এনেই অধীর বলেন, “অমিতাভ বচ্চন কোভিড পজিটিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টুইট করে তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাংলায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, অথচ তিনি একটা শব্দ পর্যন্ত খরচ করলেন না। এতটাই স্পর্শকাতরতাহীন হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হিন্দু সংহতির প্রতিষ্ঠাতা তপন ঘোষ
তাঁর অভিযোগ “করোনা আক্রান্তদেরও হাসপাতালে বেড নেই বলা হচ্ছে। তাহলে বুলেটিনে দেখানো এতগুলো বেড কার জন্য? একজন রোগীর মাকে বলতে হচ্ছে ভর্তি না নিলে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করব। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার যদি বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ থাকে, বিন্দুমাত্র সম্মান বোধ থাকে, বিন্দুমাত্র মর্যাদাবোধ থাকে তাহলে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চান। আপনার সিস্টেম ওই তরুণকে হত্যা করেছে।”
আরও পড়ুনঃ ফিরহাদের বিধায়কপদ খারিজ নয় কেন? মুখ্যসচিবকে চিঠি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের
এর আগে নবান্নের বৈঠক থেকে হাসপাতালগুলিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রোগী ফেরালে হাসপাতালের লাইন্সেস বাতিল করা হবে। কিন্তু এরকম কোনও ব্যবস্থার একটি নজিরও আজ পর্যন্ত নেই। হাসপাতালে বেড আছে কি নেই, তা হাসপাতালের সামনে ডিসপ্লে করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদতে তার কিছুই ঘটেনি। হাসপাতালে কেন বেড মেলে না, তার উত্তর কেউই জানেন না। এই পরিস্থিতিতে ইছাপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বহরমপুরের ৫ বারের দোর্দণ্ডপ্রতাপ কংগ্রেস সাংসদ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584