শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
কৃষ্ণদাস কবিরাজের তিরোধান দিবস শেষ হলো।এই তিরোধান দিবস উপলক্ষে কেতুগ্রামের ঝামুটপুরে কবিরাজের লেখা পুঁথি সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।কৃষ্ণদাস কবিরাজ ছিলেন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের একনিষ্ঠ সহচর।তিনি ঝামুটপুরে জন্মগ্রহণ করলেও পরে গ্রাম ছেড়ে মহাতীর্থ বৃন্দাবনে চলে যান।কৃষ্ণদাস কবিরাজ ১৮৮৫ সালের পর বৃন্দাবনে বসেই সেখানকার বৈষ্ণব গোস্বামীদের অনুরোধে বাংলা ও সংস্কৃত ভাষার মিশ্রণে প্রায় চব্বিশ হাজার চরণ বিশিষ্ট শ্রী চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থ রচনা করেন।
এটি বাংলা সাহিত্য তথা ভারতবর্ষের বৈষ্ণব সংস্কৃতির একটি মহাগ্রন্থ বলে স্বীকৃত।
কৃষ্ণদাস কবিরাজ বর্তমান বংশধর গিরিধারী দাস মোহন্ত জানিয়েছেন যে,তার বাস্তুভিটার একাংশ প্রতিবেশীরা দখল করে নিচ্ছেন সেটি কাটোয়া মহাকুমা প্রশাসনকে বহুবার লিখিতভাবে জানিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
এছাড়াও বৃন্দাবন থেকে কৃষ্ণদাস কবিরাজের হাতে লেখা শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি খরম সহ অন্যান্য ব্যবহৃত জিনিস এনে কেতুগ্রামে তার বাড়িতে রাখা হয়েছে।সেগুলি যাতে সংরক্ষণ করা হয় তার জন্য প্রশাসন এবং সরকারের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে দাবি গ্রামবাসীদের।
এই প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক সৌমেন পাল জানিয়েছেন যে, আমরা ওনার ব্যবহৃত জিনিস সংরক্ষণের চেষ্টা করব।স্থানীয় গবেষক তারকেশ্বর চট্টরাজ জানিয়েছে যে, কৃষ্ণদাস কবিরাজের লেখা শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থে গৌড়ীয় মতাদর্শকে সহজ সরল ভাষায় রচনা করেছেন যা আজও বৈষ্ণব সাধক এর কাছে অমৃতের সমান মর্যাদা পায়।সরকারের উচিত কৃষ্ণদাস কবিরাজের লেখা পুঁথি সংরক্ষণ করুক এবং পর্যটন কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত করুক সরকার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584