ওয়েবডেস্কঃ
সুপ্রীম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ. কে. পট্টনায়াকের পর শিবসেনাও অলোক বর্মার আকস্মিক অপসারণের নিন্দায় মুখর।
শনিবার শিবসেনা তাদের মুখপাত্র ‘সামনা’য় মোদী সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলে যে বর্মাকে অপসারণের পদ্ধতি ভুল ছিল এবং তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এর আগে “বর্মাকে সরানোর সিদ্ধান্ত ভীষণ রকমের হঠকারিতা ! ” বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় নজরদারি কমিশনের(CVC) অন্যতম সদস্য তথা সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ. কে. পট্টনায়ক।
গত বৃহস্পতিবার সি.ভি.সি. (সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনের ) রিপোর্টের ভিত্তিতেই অলোক বর্মাকে সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে বরখাস্ত করে দমকলের ডি. জি. পদ সামলানোর পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্স ও হোমগার্ড দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সিলেক্ট কমিটির সিদ্ধান্তে । তারপরেই অলোক বর্মা ভারতীয় পুলিশ বিভাগ(আইপিএস) থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কংগ্রেস দাবি তুলেছিলেন অলোক বর্মার কাছে মোদী সরকারের রাফাল দুর্নীতি সহ একাধিক দুর্নীতির কেস আছে , তাই তাকে ডিরেক্টর পদ থেকে সরানোর জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছেন মোদী ।
সিভিসি অর্থাৎ কেন্দ্রীয় নজরদারি কমিশনের অন্যতম সদস্য তথা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ. কে. পট্টনায়ক শীর্ষ আদালত কর্তৃক নিযুক্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার বিরুদ্ধে আনা ঘুষ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের নজরদারির দায়িত্ব সামলানোর জন্য। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান “দুর্নীতি সংক্রান্ত যে অভিযোগ অলোক বর্মার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তার কোন প্রমাণ নেই ! ” তিনি আরো বলেন অলোক বর্মাকে সরানোর সিদ্ধান্ত ভীষণ রকম হঠকারিতা । ” তিনি আরও বলেন যে সিভিসি রিপোর্টের ভিত্তিতে অলোক বর্মাকে সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল সেই রিপোর্ট তাঁর নয় ।
প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন দায়িত্বে থাকা আর একজন সিবিআই অফিসার স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা। আস্থানার অভিযোগের ভিত্তিতেই অলোক বর্মার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ছিল সিভিসি ।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট রাকেশ আস্তানার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইকে ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584