নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
আট বছরের প্রেমের পর যুবক-যুবতী সাত পাকে বাঁধা পড়েছিল স্বেচ্ছায়।সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই মেয়ের আবার অন্যত্র বিয়ে দিলো মেয়ের বাড়ির লোক।প্রতিবাদে মেয়ের বাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনায় যুবক।
মেদিনীপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ড তোলাপাড়ার বাসিন্দা রাজা দাসের সঙ্গে প্রতিবেশী যুবতী দোয়েল মণ্ডলের দীর্ঘ আট বছরের প্রেমের সম্পর্ক।রাজার পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিলেও দোয়েলের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি।শেষ পর্যন্ত গত শুক্রবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাজাকে ফোন করে ডেকে, দোয়েল রাজার সঙ্গে এক মন্দিরে গিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়ে।
এই খবর পাওয়ার পর মেয়ের বাড়ির লোক মেয়েকে বাড়িতে ফোন করে ডাকে। রাজাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে পৌছে যায় দোয়েল। এরপর রাজাকে মেয়ের বাড়ির লোকজন মারধর করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ রাজার। শুধু তাই নয় বুধবার অন্যত্র দোয়েলের বিয়ে দেয় বাড়ির লোক।
আরও পড়ুনঃ ভালোবাসার মূল্য চেয়ে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্ণায় প্রেমিক
এই খবর পাওয়ার পর রাজা বৃহস্পতিবার দুপুরে দোয়েলের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে।মুহূর্তেই ভিড় জমে যায় দোয়েলের বাড়ির সামনে।
পাড়া-প্রতিবেশী প্রত্যেকে রাজার পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে।এমনকি স্থানীয় কাউন্সিলারও বলেন, মেয়ের বাড়ির লোক অন্যায় করেছে।ঘটনার খবর পেয়ে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধরনায় বসে থাকা রাজাকে কোনমতে বুঝিয়ে পুলিশ বাড়ি পাঠায়।
পুলিশের আশ্বাসে রাজা এবং রাজার পরিবার মেয়ের বাড়ি থেকে ফিরে গেলেও তাদের হুমকি,যদি দোয়েলকে ফিরিয়ে না দেওয়া হয়,তবে শুক্রবার থেকে তারা ফের ধরনায় বসবেন মেয়ের বাড়ির সামনে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584