নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
সন্তানের জন্ম দিয়েই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলেন মা।সদ্যজাতকে কখনও কোলে নিয়ে কখনও পাশে বসিয়ে পরীক্ষা দিল মোবিনা খাতুন।আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।আজ ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের রাষ্ট্রবিঞ্জান পরীক্ষা।
পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগেই প্রসব যন্ত্রনা অনুভব করেন মালদহের এজিজেএস হাই মাদ্রাসার ছাত্রী মোবিনা খাতুন।শেষ পর্যন্ত সকাল সোয়া নয়টা নাগাদ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে পুত্র সন্তানের জন্য দেন মোবিনা।সচরাচর এই অবস্থায় শারীরিকভাবে ধকল নেওয়ার মতো অবস্থায় থাকেন না প্রসূতি মায়েরা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মোবিনার পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে তৈরী হয় অনিশ্চয়তা। কিন্তু অনবধ্য মানসিক জোড়ে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানান মোবিনা।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে গ্রেফতার ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থী
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান নবজাতককে নিয়েই পরীক্ষা দিতে চান তিনি।সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগ নেয় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাজির হন পর্ষদ নিযুক্ত পরীক্ষক। এরপর নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা দেরিতে সকাল ১১ থেকে হাসপাতালের বেডে বসেই পরীক্ষা শুরু করেন মোবিনা। একদিকে ঘরে নতুন অতিথি অন্যদিকে পরীক্ষার ব্যবস্থা সব মিলিয়ে খুশী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
মেয়ে চাইলে ভবিষ্যতে আরও পড়াশোনা ব্যবস্থা করা হবে জানিয়েছে পরিবার। মালদহের মোথাবাড়ির বিরামপুরে বাসিন্দা মোবিনা। স্বামী ফিরোজ সেখ কর্মসূত্রে থাকে ভিন রাজ্যে।দুই বছর আগে বিয়ের পর এটাই প্রথম সন্তান মোবিনার।এর আগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গুলো দিয়েছে বাঙ্গীটোলা হাইস্কুলে। গতকাল প্রসব যন্ত্রনা হওয়ায় তাঁকে আনা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।এদিন সকালে পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তাঁর ইচ্ছেতেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584