সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের সরঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলেন অভিভাবকরা।শুধু অভিভাবকরাই নয় প্রাক্তনীরা এই বিষয়ে সরব হয়েছেন।
বর্তমানে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই ক্ষোভ। বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে স্মারকলিপি জমা দিলেন অভিভাবকরা এবং স্কুলের প্রাক্তন ছাত্ররা। বিষয়টিতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের আর্থিক তছরুপের বিরুদ্ধে গনস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি খোদ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের কাছে অর্থাৎ তাঁর কাছেই জমা দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের অভিযোগগুলি হল, প্রথমতঃ বিদ্যালয়ে দুজন সংস্কৃত শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও আরও একটি সংস্কৃত শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করে নিজের স্ত্রী আফিজা খাতুন কে নিয়ে এসেছেন তিনি।
দ্বিতীয়তঃ শাসক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্কুল পরিচালনার বিষয়ে অনিয়ম ও অর্থ তছরুপের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
তৃতীয়তঃ বিদ্যালয়ের তফসিলি হোস্টেলে ৩৫ জনের থাকার ব্যাবস্থা আছে। অথচ তিনি ৭০ জন আবাসিককে দেখিয়ে আর্থিক তছরুপ করেছেন।
চতুর্থতঃ নিজের প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ অবলুপ্ত করেছেন। হেমন্ত রুইদাস, অভিজিৎ রায় প্রমুখরা বলেন, এই বিদ্যালয়ের একটি ঐতিহ্য আছে। পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে এই বিদ্যালয় জেলায় পরিচিত। কিন্তু যবে থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সিরাজুলবাবু নিয়েছেন তারপর থেকে পঠন-পাঠনের মান নামতে শুরু করেছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে এই স্মারকলিপি তাঁরা জমা দিলেন।
যদি এই ভুলের সংশোধন না হয় তাহলে পরবর্তীতে অন্য পদক্ষেপ নেবেন।
সিরাজুলবাবুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও আরেকটি অভিযোগ উঠছে, শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে তিনি বাড়িতে কোচিং ক্লাস চালান।এই বিষয়টিও তুলে ধরেছেন অভিভাবক এবং প্রাক্তনীরা।
আরও পড়ুনঃ বেআইনি টাকা আদায়,বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ অ্যাবেকার
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুলবাবু বলছেন,তাঁদের অভিযোগের বিষয়ে স্কুলের পরিচালন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করবেন। যদি কিছু ভুল বা ত্রুটি থাকে অবশ্যই সংশোধনের বিষয়ে উদ্যোগী হবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584