নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
সারা দেশে এবং দেশের বাইরেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে যে আকারে বিরোধিতা চলছে, তাতে একটা কথা স্পষ্ট যে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশের জনতা মোটেই খুশি নন। এদিকে বেঁকে বসেছে উত্তর-পূর্ব বিজেপির অন্যতম জোটসঙ্গী। সংসদে সিএএ কে সমর্থন করলেও এখন এই আইনের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি-র এই বন্ধুদল।
শনিবার দলের প্রবীণ নেতাদের উপস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর অসম গণ পরিষদ (AGP) তার এই অবস্থান ঘোষণা করে। দলটি বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে এখন সুপ্রিম কোর্টেও যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজিপি নেতারাও এই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। এজিপি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের নেতৃত্বে বিজেপি নেতৃত্বাধীন অসম সরকারের একটি অংশ এবং রাজ্য মন্ত্রিসভায় তাদের তিনজন মন্ত্রী রয়েছেন।
অসম গণ পরিষদ সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতি সমর্থন জানায় ঠিকই কিন্তু এই পদক্ষেপের ফলে ক্ষমতাসীন জোটে যে মতবিরোধ দেখা গিয়েছে, তাতে অনেক দলীয় কর্মীই পদত্যাগও করছেন। সকলেরই অভিযোগ যে রাজ্য নেতৃত্ব নতুন আইনের বিরুদ্ধে জনগণের অনুভূতির বিচার করতে ব্যর্থ। বিজেপির প্রবীণ নেতা জগদীশ ভূঁইয়া, যিনি অসম পেট্রোকেমিকেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যানও ছিলেন, শুক্রবার দল এবং তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ পুলিশের তরফে লাঠিচার্জ-টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, রণক্ষেত্র জামিয়া মিলিয়া-সহ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিবেশী দেশগুলির অমুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের চলচ্চিত্র অর্থ উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানও অসমিয়া সুপারস্টার যতীন বোরা তিনি বলেন, “আমি সিএবিকে মানি না। আমার পরিচয় যতীন বোরা এবং তা অসমের মানুষদের কারণেই এবং আমি এই বিষয়ে তাদের সঙ্গেই রয়েছি।” সাম্প্রতিক হিট চলচ্চিত্র ‘রত্নাকর’-এর অভিনেতা যতীন বোরা ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
কিছুদিন আগে রাজ্যের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা রবি শর্মাও বিজেপি ছাড়েন। অসমিয়া চলচ্চিত্র সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন সদস্য এই আইনের বিরোধিতা করেছেন এবং এর প্রতিবাদেও সরব হয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584