নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল্য বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পাঁচ একর জমি গ্রহণ করবে না। এআইএমপিএলবি একটি বিবৃতিতে জানায় যে মসজিদ, মুসলিমদের ধর্মচর্চার প্রধান এবং অপরিহার্য স্থান। এমন পরিস্থতিতে অন্য কোনও স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা মুসলিমদের ধর্মীয় নীতির অবমাননা করা।
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ জন বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে বিতর্কিত অঞ্চলটিকে হিন্দু দেবতা রামের জন্মভূমি হিসাবেই গণ্য করা যায়।
একই সাথে কোর্ট ঘোষণা করে, মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি ধার্য করা হবে। সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারা মেনে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মূর্তি ভাঙায় ক্ষোভ
কোর্ট একথাও উল্লেখ করে যে ১৯৯২ সালে আইন লঙ্ঘন করে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল এবং মসজিদের কেন্দ্রস্থলে গম্বুজের নীচে মূর্তি প্রতিষ্ঠাও ধর্মীয় ‘পবিত্রতা’কে বিনষ্ট করেছিল।
একটি জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এআইএমপিএলবি এর বিবৃতি অনুযায়ী, আলোচিত বিষয়টি-সহ মুসলিম স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও বাবরি মসজিদ প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমাগুলি, তাদের প্রতিনিধিত্বের উপর যথেষ্ট বিশ্বাস এবং আস্থা বজায় রেখে এসেছে।
এই আস্থার ভিত্তিতে তারা সর্ববৃহৎ পরিসরে এই সম্প্রদায়ের হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আদালতের দেওয়া রায়ের মান্যতা দেওয়া বা দেশের এই ক্ষতির দায় গ্রহণ করা, কোনোটিতেই তারা আগ্রহী নয়। সেই অনুসারে তারা ৯ নভেম্বর আদালতের দ্বারা ধার্য করা পাঁচ একর জমি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।
আরও পড়ুনঃ ধূমপান মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর
বোর্ড আরও জানায় যে তারা সংবিধানের মৌলিক মূল্যবোধ তথা সর্বধর্মের সমান গ্রহণযোগ্যতার দাবি রক্ষার তাগিদে অযোধ্যা ভূমি বিতর্ক মামলায় লড়েছিল। কিন্তু সেই অধিকার শুধুমাত্র বিকল্প জমি বরাদ্দ করে পূরণ করা যায় না।
সবশেষে বোর্ড জানায়, আমরা আশা করি, আমাদের ধর্মীয় কাঠামো, কবরস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সুরক্ষা এবং বিশেষভাবে বিভিন্ন সরকারী আধিকারিক কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত ওয়াকফের সমস্ত সম্পত্তি উচ্ছেদ ও ব্যবহার-সহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ রোধের সাথে মুসলিম সম্প্রদায়ের সমান অধিকার এবং অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584