ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
ধোঁয়াশার চাদরে মুখ ঢাকল দিল্লি, শ্বাস আটকে আসার উপক্রম দিল্লিবাসীর। শুক্রবার ফের ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছল দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা। এদিন সকালে সূর্য দেখা দায় হয়ে উঠেছিল, বাড়ির বাইরে বেরোতেই চোখে জ্বালা শুরু। শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ দিল্লিতে বায়ুর মান সূচক ৪৭১ -এ পৌঁছয়, যা এই বছরের সবথেকে দূষিত দিন। বৃহস্পতিবার বায়ুর মান সূচক ছিল ৪১১।
প্রতি বছরই দীপাবলীর কারণে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা চরমে পৌঁছয়। উল্লেখ্য, বিগত ৮ দিন ধরে সেই দূষণের রেশই জারি রয়েছে। এছাড়া আর একটি কারণ হল প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে জমিতে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো। প্রতি বছরই সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে জমিতে শুকনো খড়কুটো পুড়িয়ে দেয় চাষিরা। এই ধরনের প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি জমিতে খড়কুটো পোড়ানোর ধোঁয়া দিল্লির দিকে চলে আসায় পরিস্থিতি আরও খারাপতর হয়ে ওঠে। নভেম্বরের শুরু থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠছে রাজধানীর বায়ু।
উল্লেখ্য, বায়ুর মান সূচক ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা “ভাল” পর্যায়ে রাখা হয়, যা শ্বাস নেওয়ার পক্ষে উপযোগী। ৫১-১০০ “মাঝারি” পর্যায়ে। ১০১-১৫০ মধ্যে আসলেই তা “খারাপ” পর্যায়ে চলে আসে। বিশেষত যাদের শ্বাসজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ু মান সূচক ১৫১-২০০ মধ্যে হলে তা “অস্বাস্থ্যকর”। আর মান সূচক এর বেশি হলে তা “বিপজ্জনক” পর্যায়ে চলে যায়। গতকাল শুধু রাজধানীই নয়, বিকেল ৪টে নাগাদ ফরিদাবাদে বায়ুর মান সূচক ছিল ৪৬০, নয়ডায় ৪৮৮, গ্রেটার নয়ডায় ৪৭৮, গুরুগ্রামে ৪৪৮, গাজিয়াবাদে ৪৮৬ এবং নয়ডায় ছিল ৪৮৮।
আরও পড়ুনঃ হাওড়া থেকে মুম্বই, চেন্নাই ও পুরী রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত রেলমন্ত্রকের
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, দিল্লিতে খুব দ্রুতই পরিবহণ ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। তাই খুব প্রয়োজনেই বাইরে বেরোনোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে দিল্লিবাসীদের। এছাড়া পর্ষদ জানিয়েছে, দিল্লির বায়ুর গুণমান যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা ১৮ নভেম্বরের আগে খুব একটা নামার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুনঃ কিছুটা স্বস্তি! কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে বাড়ল দৈনিক মৃত্যু
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584