ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
‘টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে’ উত্তরপ্রদেশের বিতর্কিত চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে করা ফৌজদারি মামলা খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উসকানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাঁকে অভিযুক্ত করে যোগী সরকার। পরে তা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সভায় ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন( সিএএ)-র বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করেন কাফিল খান। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
প্রথমে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করতে চাইছেন কাফিল, এই অভিযোগে তাঁকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই মামলায় তিনি জামিন পান, তার পরেই তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত করা হয়। এরপরে কাফিল খানের গ্রেপ্তারিকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে হাইকোর্ট জানায় ওই বক্তৃতায় এমন কিছু ছিলনা যা থেকে প্রমাণ হয় যে কাফিল খান সাম্প্রদায়িক হিংসায় উস্কানি দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বৈবাহিক সম্পর্কে স্বামী বলপূর্বক যৌন সংসর্গে লিপ্ত হলেও তা ধর্ষণ নয়, রায় ছত্তিশগড় হাইকোর্টের
এরপরে সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে কাফিল খানের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। বাধ্য হয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রত্যাহার করে যোগী সরকার কিন্তু দায়ের করে ফৌজদারি মামলা। সেই মামলাও আজ খারিজ হয়ে গেল এলাহাবাদ হাইকোর্টে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়কে ‘মানুষের জয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন চিকিৎসক কাফিল খান।
আরও পড়ুনঃ অসমে একাধিক পণ্যবাহী ট্রাকে বিচ্ছিনতাবাদী গোষ্ঠীর বন্দুক হামলা, মৃত ৫, আহত ১
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584