সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
আমপান ঘূর্ণিঝড়ের দুঃস্বপ্ন আজও ভুলতে পারেনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অধিকাংশ মানুষ। অনেকেই ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে হতাশ। কেউ দলীয় কোন্দলে কেউবা বিরোধী রাজনৈতিক দল করার অপরাধে, আজও বঞ্চিত আমপান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ থেকে। কেউ আবার রাজনৈতিক জীবনে অবসর নিয়েও বঞ্চিত সরকারি প্রকল্প থেকে।
ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লকের হরিণডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম পারুলিয়ার রামগোবিন্দপুর।এই গ্রামে বাস চৌষট্টির আয়ুব পাইকের। একটা সময় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান পদে থেকে প্রচুর কাজ করেছেন তিনি। আজ বৃদ্ধ, অবসর নিয়েছেন রাজনৈতিক জীবন থেকে। সেই রাগ ফুঁসছে শাসকের নিশানায়। সাত পরিবারের সদস্যর মধ্যে নিজেকে গুটিয়েছেন ধীরে ধীরে আয়ুব।
আমপানে কেড়ে নিয়েছে বসত বাড়ি। হারিয়েছে সংসার। ঠাকুরদার আমলে নির্মিত টিনের ছাউনি দেওয়া মেঠে দেওয়াল আজ আমপানের জেরে ধংস হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ঠাঁই তার অপরেরগৃহে। কোন ক্রমে বেঁচে রয়েছেন বৃদ্ধ আয়ুব পাইক। সরকারি সাহায্য তার নেই। সিপিএম করার অপরাধে বঞ্চিত সরকারি প্রকল্প থেকে।
আরও পড়ুনঃ আমপানের ক্ষতিপূরণের দাবিতে পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ তৃণমূলের
একটা সময় আশির দশক থেকে সিপিএমের প্রধান, উপপ্রধান পদ সামলেছেন তিনি। সামলেছেন প্রশাসনের কাজকর্ম। যে বাড়িতে বসে তিনি কাজ করতেন, আজ আমপানে কেড়ে নিয়েছে তা। রামগোবিন্দপুর গ্রাম আজও স্বাভাবিক ছন্দে নেই। কোথাও পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। কোথাও বা আজও ভেঙে পড়ে রয়েছে বসত বাড়ি। যারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তাদের আমপানে ক্ষতিই হয়নি বলে দাবি অনেকের। ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তৃণমূলের ছত্র ছাওয়াই থাকা অনেক মানুষ।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল বুথ সভাপতির মদতে এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ, বোমাবাজি
আজও আয়ুব বাবু ক্ষতিপূরণের আসায় বসে রয়েছেন। ইতিমধ্যে ডায়মন্ড হারবার বিধায়ক দীপক কুমার হালদার ঘুরে এসেছেন আয়ুব পাইকের বাড়ি থেকে। এখন চাতক পাখির মতো রয়েছেন তিনি। সরকারি সহযোগিতা যদি মেলে আবারও আয়ুব পাইক ঘুরে দাঁড়াবে। শেষ বয়সে স্বস্তিতে বাঁচতে চান আয়ুব। তা কতটা ফলপ্রসূ, হয় এখন সেটাই দেখার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584