নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
মঙ্গলবার ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত পরিষদ (এডিসি) এলাকা নির্বাচনে শক্তি পরীক্ষা দিল শাসক বিজেপি ও শরিক আইপিএফটি, বিরোধী সিপিআইএম। লড়াইয়ে আছে কংগ্রেস ও অন্যান্য উপজাতি সংগঠনও। এডিসি নির্বাচনের শুরু থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে রিগিং ও ভোট লুঠের অভিযোগ আসতে থাকে। ২৮টি কেন্দ্রের এডিসি নির্বাচন ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের ক্ষুদ্র সংস্করণ হিসেবে পরিচিত। এই পার্বত্য ত্রিপুরার উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সরকারের জোট শরিক আইপিএফটি শক্তিশালী।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ছবি, দেখা যায় দুই উপজাতি যুবক মোদী ও নাড্ডার ছবি দেওয়া গেঞ্জি পরে ভোটারদের আটাকাচ্ছে। এই ছবি ঘিরে ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত এলাকার নির্বাচন তোলপাড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে আরও একটি ভিডিও, তাতে স্পষ্ট একইরকম গেঞ্জি পরে এক যুবক লাঠি দিয়ে বৃদ্ধ ভোটারকে মারছে।
গত ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে এডিসি এলাকায় বাম ভোট ব্যাংকে ধস নামে। রাজ্যে টানা ২৫ বছরের সিপিআইএম নেতৃত্বে চলা বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়। পালাবাদলের পর উপজাতি এলাকার দল আইপিএফটি ও বিজেপি জোটের সরকার চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর লোকসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির নেতা একতরফা রিগিং হয়েছিল বলে অভিযোগ করে বিরোধী সিপিআইএম।
মঙ্গলবার এডিসি নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় রিডিং, বুথ দখল, গুলি চালনা, রাজনৈতিক বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, সিপিআইএম ও বিজেপির পারস্পরিক দোষারোপ, বুথ লুঠ রুখে দেওয়ার ঘটনা পরপর ঘটেছে। নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগে সরব সিপিআইএম ও কংগ্রেস। তবে বিজেপি জানায় ভোট হয়েছে নির্বিঘ্নে। শেষ বেলায় বিজেপি সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক কে ঘিরে বিক্ষোভ ছড়ায়।
আরও পড়ুনঃ আরামবাগে ফের আক্রান্ত তৃনমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল খাঁ
গত লোকসভা নির্বাচনেও ত্রিপুরায় সন্ত্রাস ছিল লাগামছাড়া, এমনই অভিযোগ বিরোধী দল সিপিআইএম-এর। পঞ্চায়েত ভোটে নব্বই শতাংশ আসন রিগিংয়ের ঘটনায় দেশজুড়ে বিজেপির সমালোচনা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই এডিসি নির্বাচন ঘিরে বুথ দখল, রিগিং, গুলি চালনা ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবরে তীব্র উত্তেজনা ছিল আগরতলায়। বিরোধী দল সিপিআইএমের অভিযোগ, ভোট লুঠের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া চলছে রাজ্যে। সরব কংগ্রেস। বোধজংনগরে গুলি চলেছে। জখম হয়েছেন একজন।
আরও পড়ুনঃ উলুবেড়িয়া হাসপাতাল চত্বরে বিজেপি প্রার্থী পাপিয়া অধিকারীকে চড়, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে
ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি ও আইপিএফটি। জানা গিয়েছে বাধা পাওয়ার ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা ছডায় বিশ্রামগঞ্জে। তবে ভোটাররা দলবেঁধে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বেকারত্ব সূচক দেশে দ্বিতীয় স্থানে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের লাগাতার হাস্যকর মন্তব্য বারবার দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি করেছে। বিরোধী নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের দাবি, রাজ্যবাসী ফের পরিবর্তনের জন্য মুখিয়ে। এদিকে শাসক দল বিজেপির অভ্যন্তরে প্রবল বিদ্রোহ। একাধিক বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর বদল চেয়ে পাল্টা শিবির তৈরি করেছেন।’বিপ্লব হটাও ত্রিপুরা বাঁচাও’ দাবিতে বিজেপির অন্দরমহলেও জোর অশান্তি রয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584