মাশরুম চাষে বিকল্প আয়ের সন্ধান

0
281

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

কৃষিজাত পণ্যের সঠিক মূল্য অনেক সময় পাওয়া যায়না তাই বছরভর চাষিদের দুশ্চিন্তা থাকে। কিন্তু বর্ধমানের গলসি ১ মারোর বেশ কিছু বাসিন্দা চিরাচরিত ফসল চাষ না করে বিকল্প চাষ হিসাবে শুরু করেছে মাশরুম চাষ। তাঁদের কাছ থেকে জানা যায়, মাশরুম চাষ করতে গেলে সর্বপ্রথম সঠিক কর্মপরিকল্পনা করা প্রয়োজন। এ চাষে আলোহীন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ প্রয়োজন, তবে খেয়াল রাখতে হবে ঘরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে। স্পূনগুলোকে রাখার জন্য ছোট মাচা ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত গ্রীষ্মকালে প্রতি আড়াই মাসে ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া যায় তবে শীত ও বর্ষাকালে মাশরুম উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে এ সময় একটি ভালো মানের স্পূন থেকে প্রতি আড়াই মাসে ২০০-২৫০ গ্রাম মাশরুম উৎপাদন করা যায়। তবে সঠিক পদ্ধতিতে উৎপাদন করতে না পারলে ঝুঁকি থাকে। সঠিক তাপমাত্রার অভাব ছাড়াও বিভিন্ন পোকামাকড় যেমন- তেলাপোকা, মাছি, ইঁদুর, মাকড়সা ইত্যাদি আক্রমণের শঙ্কা আছে। এসব ক্ষতিকর পোকামাকড়কে সঠিক পদ্ধতিতে প্রতিকার করতে হবে।

নিজস্ব চিত্র

দাম কত পাওয়া যায়? ১০০ গ্রাম কাঁচা মাশরুম ২০-২৬ টাকা, শুকনো ১৭০-১৮৫ টাকা এবং গুঁড়ো ১৭০-১৮৫ টাকা বিক্রি হয়। তাই বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছে মাশরুম চাষ। তাছাড়া মাশরুম সুষম খাদ্য হওয়ায় রক্তে চিনির সমতা রক্ষা করে ফলে ডায়াবেটিক রোগী এবং যারা স্থুল বা স্বাস্থ্যবান তাদের জন্য উপযুক্ত খাবার। মাশরুম দেহের ক্ষয়পূরণ, হাড় গঠন ও দাঁত মজবুত করে। রক্তহীনতা, বেরিবোধ, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। স্থানীয় শিক্ষক বিমল রক্ষিত বলেন, মাশরুমের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলত আর্থিক স্বনির্ভরতার বিকল্প পথ খুঁজে পাচ্ছেন কৃষকরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here