বিজেপি বিরোধী বলে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি বিতর্কে ষড়যন্ত্র, নবান্নে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

0
72

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

বিজেপিকে বারবারই বহিরাগত দল এবং এ রাজ্যের মনীষীদের সম্বন্ধে তাদের কোনও জ্ঞান নেই অথবা তারা মনীষীদের সম্মান করতে জানেন না, এমন দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি এটাও বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, বাংলার মনীষীদের সম্মান করতে জানে একমাত্র তাঁর সরকার।

mamata | newsfront.co
ছবিঃ বিভাস লোধ

সম্প্রতি বোলপুরে অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন বলে দাবি করেছিল বিজেপি। এদিন নবান্নে সাংবাদিকরা তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, অমর্ত্য সেন বিজেপি বিরোধী বলেই তার বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে। একজন নোবেল প্রাপককে এ ধরনের অসম্মান কাম্য নয়।

প্রসঙ্গত,নোবেলজয়ী অর্থনীতিক অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র জমির কিছুটা অংশ বিশ্বভারতীর, এমনই অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অমর্ত্য সেন পালটা বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে চিঠি লিখে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানেও অব্যাহত বিশ্বভারতীর তরজা

আর অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমিদখলের মতো অভিযোগ ওঠায় এবার বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”অমর্ত্য সেন কেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করতে যাবেন? আসলে উনি আদর্শগতভাবে বিজেপি বিরোধী বলে ওঁকে নিয়ে এই চক্রান্ত।”

মাস কয়েক আগে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর নিজেদের অধিকারে থাকা জমি গুলি নিজেদের দখলে আনতে তৎপর হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আর বিশ্বভারতী সরাসরি রাজ্য সরকারের অধীনে নয় এটি একটি স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান। পূর্বপল্লি, দক্ষিণপল্লি, আশ্রম এলাকায় ৭৭টি প্লটের মধ্যে ১২টি প্লট মাত্র বিশ্বভারতীর নামে রেজিস্টার্ড রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ শুভেন্দু মিছিলের মধ্যেই তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে মেদিনীপুর নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাকীগুলি বিশ্বভারতীর নামে নেই। ১৯৩১-৩২ এবং ১৯৩৩ সালে পূর্বপল্লি, দক্ষিণপল্লির প্লটগুলি সেসময় বিশ্বভারতীতে কর্মরত অধ্যাপক, কর্মীদের ৯৯ বছরের লিজ দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে এসব প্লটে সেই অধ্যাপক, কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছেন।

নিয়ম অনুসারে, ২০-২৫ বছর পর রেকর্ড কার নাম রয়েছে, তা খতিয়ে দেখে ভূমি দফতর। এক্ষেত্রে প্লটগুলি বিশ্বভারতীর হলেও কর্তৃপক্ষ নিজেদের নামে রেজিস্ট্রেশন করায়নি। ফলে ওই প্লটে বসবাসকারীদের নামেই তা রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। সেভাবেই অমর্ত্য সেনের ‘প্রতীচী’ বাড়ি নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না- সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর

এই নিয়ে এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”জেনে রাখবেন, অমর্ত্য সেনকে অপমান মানে বাংলাকে অপমান। আমরা কিছুতেই মেনে নেব না। অমর্ত্য সেনের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এমন চক্রান্ত নিন্দনীয়।” এদিন বিশ্বভারতীর শতবর্ষে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়েও তিনি বলেন, তাঁকে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও তাকে যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এমন একটি চিঠি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে পেশ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here