নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
একজন প্রবীণ মার্কিন কর্মকর্তা একটি সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন যে ভারতের প্রতিরক্ষা বিষয় সংক্রান্ত রাশিয়ান ‘ট্রাইমফ এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারে কোনও নিষেধাজ্ঞা ওয়াশিংটন চাপাতে চায় না। তবে মস্কোর ভারতের উপর নজরদারির ব্যাপারে, ভারতের প্রযুক্তি আরও সুরক্ষিত করতে নয়াদিল্লিকে তৎপর হতে হবে।
সেই মার্কিন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার একটি আলোচনা সভায় জানিয়েছেন, তুরস্কও রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ ক্ষেপনাস্ত্রটি কিনেছে, কিন্তু এ বিষয়ে ভারতকে প্রত্যক্ষ ভাবে তারা কিছু জানায়নি। আন্দাজ করা হচ্ছে, এই গোটা বিষয়টি ভারতের প্রতিরক্ষার বিষয়ে একটি বিতর্কের সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুনঃ ক্রিকেটের নন্দনকাননে শুরু গোলাপি উৎসব
এই সপ্তাহে মার্কিন রাজ্য দফতর, রাশিয়ার ভারতকে উন্নত এমকে ৪৫ সিরিজের ৫ ইঞ্চি-৬২ ক্যালিবার (এমওডি ৪) এর কয়েকটি নৌ-বন্দুক বাবদ ১ বিলিয়ন ডলার বিক্রয়কে অনুমোদন দিয়েছে। যদিও ভারত অগস্ট মাসে রাশিয়ান কনট্রাকটরকে এস-৪০০ ক্ষেপনাস্ত্র বাবদ সর্বমোট ৮০০ মিলিয়ন ডলার অগ্রিম দিয়েছিল।
এই বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মন্তব্য এটাই প্রমাণ করেছিল যে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপনাস্ত্র কেনার জন্য ভারতকে (CAATSA) আইন মঞ্জুর করে মার্কিনি দাবি-দাওয়াগুলি অগ্রাহ্য করতে হবে। তবে CAATSA এর তালিকাভুক্ত প্রতিরক্ষক রাশিয়ান সংস্থাগুলি যে কোনও দেশকেই ১৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের অস্ত্র কিনতে নিষিদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুনঃ শহরে হাসিনা, বিমানবন্দরে তাঁকে নিতে স্বয়ং মহারাজ
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও তুরস্কের বিরুদ্ধে ক্যাটসা অনুমোদন আইন জারি করেনি। অন্যদিকে এফ-৩৫ মডেলের কমব্যাট জেট বিমানগুলি প্রদান করাও খারিজ করেছে। তাই ভারত এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এ জাতীয় উন্নত অস্ত্রের সন্ধান করছে না।
রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক সফরের সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগানকে সতর্ক করেছিলেন যে রাশিয়ার চুক্তি একটি নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে ফেলতে চলেছে।
তবে ক্যাটসার এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেছিলেন, “সিএএটিএসএ নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারিত বা নিখুঁত নয়। তবে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞাগুলির গভীরতা আরোপিত হতে পারে সে বিষয়ে এখনও প্রচুর সুযোগ রয়েছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584