নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলাই লামার উত্তরসূরিদের ব্যাপারে চিনকে নাক গলাতে দিতে চায় না। তারা চায় এই ব্যাপারটি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সামলাতে। গত সপ্তাহে, আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রাউনব্যাক এর সঙ্গে দলাই লামার এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে তাঁর ধরমশালার বাড়িতে।
পরবর্তী আধ্যাত্মিক নেতা কোনও চিনা ব্যক্তি না হয়ে একজন তিব্বতিকে করা হোক, এর স্বপক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত গঠন করার প্রচেষ্টা ব্রাউনব্যাক করবেন—তা তিনি দলাই লামাকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন।
এএফপিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ব্রাউনব্যাক বলেছেন, “আশা করি, জাতিসংঘ এই বিষয়টির দায়িত্ব নেবে।” তিনি আরও বলেছেন, চিন হয়তো ভেটো শক্তি কাজে লাগিয়ে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে। কিন্তু পাশাপাশি জাতিসংঘের পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত অনেকটাই সাহায্য করবে এই পদক্ষেপকে বাস্তবায়িত করার।
ওই সাক্ষাৎকারে ব্রাউনব্যাক আরও বলেছেন, “আমার মনে হয় এই বিষয়টি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন ফেলার মতো বিষয়, যা গোটা পৃথিবীতেই প্রভাব ফেলবে। এর মধ্যে দলাই লামার যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে তা নিয়ে সারা বিশ্বে শোরগোল পড়ে যাবে।”
একটি জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ব্রাউনব্যাক বলেছেন, “নিঃসন্দেহে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি এ সম্পর্কে অনেক চিন্তাভাবনা করেছে। তারা একটি পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই পেয়েছে এবং আমি মনে করি একটি পরিকল্পনা নিয়ে আমাদেরও সমান আগ্রাসী হতে হবে। ”
এর আগে দলাই লামার হাস্যরস ভরা বক্তৃতায় পাশ্চাত্যের অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বিশ্বের আপামর জনগণকে আরও অনুপ্রাণিত করার জন্য তাঁর আরও ভ্রমণ করা উচিত। কিন্তু নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী এই ব্যক্তিত্বের বছরের শুরুর দিকে শরীর খারাপ হয়েছিল। তবে এখন তিনি সুস্থ রয়েছেন। ব্রাউনব্যাককে একবার তিনি মজা করে বলেছিলেন, “দেখুন, আমি আরও ১৫-২০ বছর বাঁচব। বয়সে আমি চিনা সরকারকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছি।”
এর মধ্যে বেজিং ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা দলাই লামার অপেক্ষায় রয়েছে। তারা বিশ্বাস করে বৃহত্তর তিব্বতি স্বায়ত্তশাসনের জন্য দলাই লামার প্রচারে নামা উচিত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584