সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
যুদ্ধে নেমে সরে আসার পাত্র নয় কেউই।সে প্রচার যুদ্ধই হোক না কেন।বাংলায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি।এদিন জয়নগরের ক্যানিং এর নতুন বাস স্ট্যান্ডে সভা করতে আসেন অমিত শাহ।সেখান থেকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অমিত শাহ।
আওয়াজ তোলেন ‘জয় শ্রীরাম’। তিনি বলেন, “যদি ক্ষমতা থাকে তো আমাকে এখান থেকে গ্রেফতার করুক তৃণমূলের সরকার অমিত শাহ সভা বলেন বাংলায় জয় শ্রীরাম বললে গ্রেফতার করা হচ্ছে ,আমি জয় শ্রীরাম স্লোগান দিলাম ক্ষমতায় থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন আমি আগামী কালকে কলকাতায় আসছি।” বাড়ুইপুড়ে সভা বাতিল হওয়ার পর এ দিনে নির্ধারিত সময়ের পরেই শুরু হয় ক্যানিংয়ের সভা।
আরও পড়ুনঃ ঘাটালে প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্যের জবাব অমিতের
মূলত তৃণমূল সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সভা বাতিল প্রসঙ্গে অমিত বলেন, “সভার অনুমতি দিন, কথা বলতে না দিন তাতে কিছু হবে না কিন্তু মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে।” নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “এখানে সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিতে হয়,কোন কাজ করতে গেলে এখানে ভাতিজা ট্যাক্স দিতে হয় আপনারা কি ভাতিজা ট্যাক্স দিতে চান!”
আর সেই কারণেই বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান চাণক্য সেনাপতি অমিত শাহ।তিনি আরো বলেন, “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে এখানে সোনার বাংলা তৈরি করা হবে এখানে এখন কাঙালের বাংলা তৈরি হয়ে আছে যে বাংলাকে আমরা পরিবর্তন করতে চাই পুরো বাংলার উন্নয়ন থামিয়ে দিয়েছে দিদি কেন্দ্রে কোন প্রকল্প যেখানে সুবিধা পাচ্ছে না মানুষ তার কারণ মোদি সরকারের প্রকল্প ঢুকলে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপর থেকে আস্থা হারাবেন তাই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কোন প্রকল্প ঢুকতে দিচ্ছেন না এই বাংলায়।”
বাংলায় কোন দুর্গাপুজো এবং সরস্বতী পুজো হলে বাধা সৃষ্টি করছে তৃণমূল সরকার বিজেপি ক্ষমতায় আসলে সমস্ত পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে রাজ্যে এমনটাই জানালেন শাহ।এদিন এনআরসি প্রসঙ্গে ফের আরেকবার সরব হলেন বিজেপির প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ। তিনি বলেন, “এ রাজ্যে সমস্ত হিন্দু খ্রিস্টান বৌদ্ধ শিখ যারা আছে সকলে অত্যাচারিত এবং তাদেরকে আমরা নাগরিকত্ব দেবো আর যারা বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন তাদেরকে আমরা বাংলাদেশে পুনরায় একটি একটি করে ফেরত পাঠিয়ে দেবো আর তাহলেই কিন্তু বাংলার শান্তি ফিরবে।”
বাংলাতে আগে রবীন্দ্রসংগীত শোনা যেত চৈতন্য শোনা যেত কিন্তু বাংলা এখন একটাই সংগীত শিল্প শুধু ধামাকা শোনা যায় এখানে বোমা কুটির শিল্পের আকারে বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন শাহ।এদিন সভায় সেনাপতি শাহ যে বাঙালির ভাবাবেগকে উস্কে দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অস্ত্র সান দেবেন তা হয়ত অনেকেই জানতেন।বাড়ুইপুর সভা বাতিলের পর শাসক দলের ষড়যন্ত্রের কথা উঠে আসছিল বারবার তাই যতটুকু মাটি পেলো তাতেই প্রচার ঝান্ডা গাঁথতে মরিয়া পদ্ম শিবির।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584