শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
গতকাল ত্রিপুরা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষ। চলছে তৃণমূলের ভোট প্রচারে বাধা, এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সভা করতে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করেনি ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরায় আসন্ন পৌর নির্বাচনে বহু ভাবে প্রচারে এবং মিটিং মিছিলে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এমনটাই দাবী দলের পক্ষ থেকে। এছাড়াও তাদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে, অফিস ভাংচুর করা হচ্ছে, এমনই গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেতৃত্ব বৃন্দের ভাষায়, সেখানে গুন্ডারাজ চলছে, আইনের কোন শাসন নেই।
ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে, দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দলের সাংসদরা ত্রিপুরার বিষয়টি নিয়ে, দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সাথে সাক্ষাৎ করবে। তারপরে সমস্ত বিষয়গুলি উপস্থাপনা করবে, অমিত শাহের সামনে। কিন্তু সেখানেও বাধা। জানানো হয় তাদের সাথে আলোচনায় বসবেন না তিনি।
পরিস্থিতিকে বেগ দিতে নিরুপায় হয়ে তৃণমূলের সাংসদরা রাজধানী শহর দিল্লিতে অমিত শাহের দফতরের সামনে ধর্ণায় বসেন। সেখানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের গুন্ডাগিরি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জোর গলায় ভাষণ দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর নর্থ ব্লকের সামনে মাদুর পেতে ধর্নায় বসে থাকেন, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় এবং মালা রায় সহ ১৮ জন সাংসদ।
আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূলের মামলা গৃহীত শীর্ষ আদালতে, শুনানি মঙ্গলবার
শেষপর্যন্ত তাদের চাপের কাছে একপ্রকার বাধ্য হয়ে দেখা করতে সম্মত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যায়ানন্দ রাই তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়কে ফোন করে সাক্ষাৎ-এর সময় নির্ধারণ করেন। তৃণমূলের সমস্ত সাংসদকে সোমবার বিকেল ৪ টের সময় অমিত শাহ এর বাড়ি ডেকে পাঠায়। সেই মতো হাজির হয় তৃণমূলের সাংসদরা। ইতিমধ্যে বৈঠক শুরু হয়ে গেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584