মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ
২০মে, বুধবার পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমপান। বিধ্বংসী এই ঝড়ের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই চব্বিশ পরগনা। আজ সাতদিন হয়ে গেল ঘূর্ণিঝড় এ রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। বিধ্বস্ত দুই জেলার অধিকাংশ অঞ্চলে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। জল নেই। খাবার নেই। বিদ্যুতও নেই। একলা অন্ধকারে ডুবে রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ধামুয়া অঞ্চলের কিছু প্রত্যন্ত গ্রাম।
মঙ্গলবার হঠাতই একটা ফোন আসে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সুসম্পর্ক’-এর কাছে। ফোনেই এই সংস্থার কাছে খবর আসে যে, আমপানের জেরে বিধ্বস্ত ধামুয়া অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি। সেখানকার বাসিন্দাদের অবস্থা খুবই খারাপ। ওই গ্রামের শিশুরাও অভুক্ত হয়ে রয়েছে।
এই খবর পাওয়ার পর বুধবার সকালে সুসম্পর্কের পক্ষ থেকে অরবিন্দ সিংহ এবং শোভন ভট্টাচাৰ্য দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ধামুয়া অঞ্চলে যান। সেখানে গিয়ে তাঁর দেখেন জলের মধ্যে বিদ্যুৎ -এর তার খুলে পরে রয়েছে, রাস্তায় গাছ পরে রাস্তা ভেঙে গেছে। আমপানের তাণ্ডবে ভেঙে গিয়েছে সেখানকার অধিকাংশ ঘরবাড়ি।
আরও পড়ুনঃ আমপানের রেশ এখনও কাটেনি, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ফের ঝড় বৃষ্টি
ধান জমিতে খালের নোংরা জল ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে সব ধান। এবং শেষে তাঁরা দেখেন, মায়ের কোলে শুয়ে সন্তানরা একটু খাবারের জন্য কাঁদছে। কিন্তু ঝড় হয়ে যাওয়ার সাত দিন পরেও সেখানে কেউ একটুও সাহায্য নিয়ে পৌঁছায়নি।
ঘূর্ণিঝড়ের পর কেমন আছে ওই গ্রামের মানুষগুলো? কেউ খোঁজই নেয়নি তাঁদের। ওই গ্রামগুলির এহেন করুণ দৃশ্য কাঁদিয়েছে সুসম্পর্কের কর্ণধার অরবিন্দ সিংহকে। তাই ওই প্রত্যন্ত গ্রামের না খেতে পাওয়া মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে চায় ‘সুসম্পর্ক’।
আরও পড়ুনঃ ভারত ও চিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত আমেরিকা: ট্রাম্প
সুসম্পর্ক খুব শীঘ্রই বিধ্বস্ত গ্রামগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দেবে বলেও জানান অরবিন্দ বাবু। তবে তিনি চান, সুসম্পর্কের সঙ্গে ওই ছাদ উড়ে যাওয়া গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসুক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সহৃদয় ব্যক্তিরাও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584