মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
সদ্য ডিম ফুটে বাচ্চা হয়েছে।আর তারপরেই সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দুই চিল দম্পতি হিংস্র হয়ে উঠেছেন।যে গাছে বাসা রয়েছে,কাছাকাছি যেতেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে তারা। চোখ লক্ষ্য করে আচর কেটে নিমিশেই পালিয়ে যাচ্ছে। কোচবিহার শহরের জেনকিন্স স্কুলের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই শিক্ষক আহত হয়েছে।তাঁদের মধ্যে একজনের নাম জয়ন্ত সরকার, অন্যজন প্রনব রায় তালুকদার। দুজনকেই হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
কাল পরশু স্কুল ছুটি রয়েছে। সোমবার আবার ছাত্ররা আসতে শুরু করবে। ওই চিল দম্পতী যদি আবার ছাত্রদের উপরে চরাও হয়, সেই উদ্বেগে শিক্ষক প্রশান্ত রায় বন দফতরের আধিকারিকদের দ্বারস্থ হন। বন বিভাগের কোচবিহারের রেঞ্জার সুরঞ্জন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল বন কর্মী এসে চিল দম্পতিদের বাসা দূর থেকে দূরবীন দিয়ে দেখে বুঝতে পারেন, সেখানে দুটি চিলের বাচ্চা রয়েছে। আর সেই কারনেই নিরাপত্তা নিয়ে উদবিঘ্ন হয়ে কাছাকাছি কেউ গেলে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে। কিন্তু বিলুপ্ত প্রায় ওই চিল দম্পতিকে এখনই সেখা থেকে সরিয়ে দিতে নারাজ বন দফতর। তারা পরামর্শ দিয়েছেন বাচ্চা দুটো বড় না হওয়া পর্যন্ত ওখানেই থাকবে ওরা। ওই এলাকায় যাতে কেউ যাতায়াত না করে তার জন্য ওই গাছের কাছাকাছি যাওয়ার একটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সোমবার থেকে বন দফতর সেখানে পাহারা বসানোর সিধান্ত নিয়েছে। আর যাতাযাতের জন্য দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ হয়ে থাকা একটি গেট খুলে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন ওই স্কুলের শিক্ষক শঙ্কর দত্ত। রেঞ্জার সুরঞ্জন সরকার বলেন, “বিলুপ্ত প্রায় চিল বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা এখনই এখান থেকে বাসা ভেঙে দিতে রাজী নই। সোমবার থেকে নজর রাখার জন্য একজনকে পাহারায় রাখা হবে। যাতে কোন ছাত্রের ক্ষতি না হয়।” স্কুলের শিক্ষক জয়ন্ত সরকার বলেন, “যেভাবে আমার চোখ লক্ষ্য করে ছো মেরে আমাকে আচর কেটেছে। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। ছোট ছোট ছাত্রদের যদি এভাবে আক্রমণ করে। তাহলে বড় ধরনের অঘটন ঘটে যেতে পারে। যদিও বন দফতর একজনকে পাহারায় রাখবে বলে জানিয়েছেন। এটাই বড় ভরসা।”
আরও পড়ুন: উঠতি খেলোয়াড়দের ফুটবল প্রশিক্ষণ জেলা পুলিশের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584