মেট্রো প্রকল্পের বকেয়া টাকা নিয়ে চাপ দিচ্ছে অনিল আম্বানির সংস্থা, দাবি কেন্দ্রের

0
100

শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ

অভিযোগ আগে থেকেই ছিল বিরোধীদের। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকারের সাথে আম্বানীদের গোপন আঁতাত আছে। যদিও এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেন বিজেপি সরকার। তবে সাম্প্রতিক দিল্লির মেট্রো প্রকল্প নিয়ে সরকারের সাথে যে বিরোধ প্রকাশ্যে , তাতে বিরোধীদের গুঞ্জন যে মিথ্যা নয়, সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে অনেকাংশে।

Tushar Mehta

দিল্লিতে চলমান একটি মেট্রো প্রকল্প থেকে নিজে থেক সরে দাঁড়িয়েছেন, অনিল আম্বানির সংস্থা ‘দিল্লি এয়ার
পোর্ট ও মেট্রো এক্সপ্রেস লিমিটেড “। সালিশি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আম্বানির সংস্থাকে দিল্লি মেট্রো পরিষেবার তরফ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে, সুপ্রিম কোর্টও সালিশি আদালতের রায় বহাল রাখেন। শেষ পর্যন্ত মেট্রো দফতরের হয়ে কেন্দ্র সরকার এই টাকা দিতে সম্মতিতে প্রদান করেন। তবে এই টাকা আদায়ের জন্য অনিল আম্বানির সংস্থা কেন্দ্রকে চাপ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা।

প্রাপ্য টাকা কোনভাবেই ফেলে রাখতে রাজি নয়, আম্বানির সংস্থা। তাই তারা পুনরায় দ্বারস্থ হয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কাইটের নেতৃত্বে শুনানির সময়, সরকার পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা জানান, “আম্বানির সংস্থা যে সমস্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছে তাদের সরাসরি ঋণ শোধ করতে সরকার রাজি। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে। বাকি টাকা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ মেট্রো কর্তৃপক্ষ একপ্রকার দেওলিয়া হয়ে গেছে। তাই এই মুহূর্তে সালিশি আদালতের রায় মেনে টাকা ফেরত দিলে সমস্যায় পড়বে দেশের সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুনঃ এলগার পরিষদ মামলায় এনআইএ-এর আর্জি খারিজ, সুধা ভরদ্বাজের জামিন বহাল শীর্ষ আদালতে

কিন্তু কেন্দ্রের এই বয়ানে খুশি নয়, আম্বানি সংস্থার আইনজীবী রাজীব নায়ার। তিনি স্পষ্ট জানান, ‘সরকার এভাবে হাত তুলে নিয়ে বলতে পারেনা, তারা দেওলিয়া হয়ে গেছে। কারণ দিল্লি মেট্রো প্রকল্পের ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল আছে। সেখান থেকে আমাদের প্রাপ্যটা মিটিয়ে দিলেই ঝামেলা মিটে যায়।’

আরও পড়ুনঃ কোভিডে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে বাংলা, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান

এই কথার প্রতি উত্তরে বাগ-বাতিন্ডার সুরে বিপক্ষ উকিল তুষার মেহেতা জানান, ‘আপনাদের এই মনোভাব ঠিক নয়। আমাদের এই পরিস্থিতি আপনাদের বোঝা দরকার। কারণ আপনারা সরকারের সাথে মিলেমিশে বহু প্রজেক্টের সাথে কাজ করেছেন। তাই চাপ দেবেন না। এই নিয়ে আপনাদের দুই বার এমন মনোভাবের পরিচয় পেলাম। ধৈর্য্য রাখুন প্রয়োজন নয়া নীতি গ্রহণ করা হবে।’ তবে এই মামলার আবার শুনানি হবে ২২ শে ডিসেম্বর।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here