পল্লব দাস,কর্ণসুবর্ণঃ
একটু অবাক লাগল কি ! কিন্তু এটাই সত্যি।পিঁপড়ের দল খাদ্য সংগ্রহের পর উদ্বৃত্ত খাবার সঞ্চয় করে যেখানে রেখেছিল, সেখানে দানা শস্যের থেকে অঙ্কুরোদগম হয়ে বেরিয়েছে গাছ।
তাই চাষের কনসেপ্টটা মিলে যাচ্ছে।ঐ দলের স্থানীয় পিঁপড়ে বহাল তবিয়তে গাছে চড়ছে,ঘুরে বেড়াচ্ছে,কিছু পিঁপড়ে এখনো দানা গুলো সংগ্রহ করছে।একটি পুরোনো বাড়ির দালানের সকাল ন’টার দিকে এরকম ই ঘটনা দেখা গেল।অনেকেরই নজর এড়িয়ে গেছে ব্যাপারটা তবে সবার নয়।
পিঁপড়ে নিম্নবর্গের প্রাণী,দৈনন্দিন জীবনে এদের বহু কাজ কর্ম আমাদের চোখে পরে।তবে এদের বিচার বুদ্ধির প্রশংসা করতেই হয়।পিঁপড়ে স্বাভাবিক সংস্কারের জন্যই বিচিত্র কাজ কর্ম করে বলেই মনে করেন অনেকেই।এদের গৃহনির্মাণ,সন্তান প্রতিপালন এবং বিবাদ ও আত্মরক্ষা সংক্রান্ত কার্যকলাপ অন্য প্রাণীদের থেকে একটু ভিন্ন।এরা প্রচন্ড রকমের শৃঙ্খলা মেনে চলে।বিবেচনা বুদ্ধির চরম নিদর্শন দেখা যায় বিশেষত খাদ্য সংগ্রহের সময়।
খুব ছোটো বেলা পিঁপড়ের বুদ্ধি নামে একখানি গল্প পড়েছিলাম।সেখানে একটু মৃত আরশোলা আঠার মধ্যে পড়েছিল আর চারদিকে তরল আঠা ছড়িয়ে ছিল তাই পিঁপড়ের দল চাইলেও আঠা পেরিয়ে মৃত আরশোলার কাছে পৌঁছতে সমর্থ হচ্ছিল না।এমত অবস্থায় পিঁপড়ের দল ছোটো কাঁকর মুখে করে এনে আঠার ওপর ব্রিজ তৈরি করে আরশোলার কাছে পৌঁছয় এবং খাদ্য গ্রহণ করে।এরকম আরো নানা ঘটনা লক্ষ্য করেন অনেকেই যার থেকে বলা যায় ‘পিঁপড়ের বুদ্ধি’ আছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584