অবিজেপি রাজ্যনেতাদের উপস্থিতির উপলক্ষ্য কুমারের শপথ গ্রহণ, লক্ষ্য দিল্লীর মসনদ

0
111

নিজস্ব সংবাদদাতা, কর্ণাটকঃ বুধবার কর্ণাটকের কুর্সিতে বসতে চলেছেন কুমার স্বামী। ইতিমধ্যে  দিল্লীতে এসে তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ করে গিয়েছেন কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়াগান্ধী ও সভাপতি রাহুল গান্ধীকে।অতীত ভুলে একে অপরের হাতে হাত রেখে রাজ্যের এই জোট সরকার কাজ করবে বলে আশাবাদী দুই পক্ষই। ভবিষ্যত যাই হোক এই নতুন সমীকরণের ফলে বিরোধী দলের কাছে রাতারাতি যাতে মুখ না পোড়ে সেই দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে নিরাপদে পা ফেলতে চাইছেন দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।দপ্তর বন্টন নিয়ে শুরুতে মনোমালিন্য হলেও আপাতত সামলে নিয়েছেন তারা। স্পীকার পদ ছাড়া হয়েছে কংগ্রেসকে। তেমনি দুই উপমুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবি থেকে সরে এসে কংগ্রেস চাইছে লিংগায়ত বিধায়কদের মন্ত্রীত্ব দিতে।যাতে এই দূর্বল জায়গায় আঘাত না হানতে পারে বিজেপি।একাধিক আনুপাতিক বিন্যাসে মন্ত্রীত্ব ভাগাভাগি হতে পারে। ২০: ১৩ কিংবা ১৮:১৫ হিসেবে কংগ্রেস ও জেডি(এস) তাদের মন্ত্রীত্ব ভাগ করে নিতে পারে।আবার বুধবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশ দেখতে চলেছে এক নয়া রাজনৈতীক জোট।খাতায় কলমে না হলেও বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজনৈতীক দল ও অবিজেপি রাজনৈতীক দলগুলোর সহাবস্থান সেই সম্ভাবনাকেই উস্কে দিচ্ছে।

কূমার -রাহুল, ছবি-সংগৃহিত

তবে ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে একঘরে করে দেওয়ার এই রাজনৈতিক জোট কিছুতেই কন্টকহীন নয় বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। কংগ্রেসের সাথে একসাথে বসবে না বলে মঙ্গলবার কর্নাটক ঘুরে গেলেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে.চন্দ্রশেখর রাও।যিনি আবার এই জোটের অন্যতম মুখ।

মমতা-রাও, ছবিঃ সংগৃহিত

আবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জোটের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও কংগ্রেস যে তাঁর সর্বময় কতৃত্ব মেনে নেবে না সে ব্যাপারেও নিশ্চিত মমতা ব্যানার্জী। দেশের রাজনৈতীক বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন কর্নাটকে পাটিগনিতের হিসেবে কংগ্রেস ও জেডিএস-এর জোট সরকার গড়ছে দেখে এটা ভেবে নেওয়া মোটেই ঠিক নয় এই ধরনের জোট দেশের ভবিষ্যত হতে পারে। তাঁরা আরও মনে করেন কর্ণাটকের এই জোট সরকার আগামী পাঁচবছর তো দুরের কথা ২০১৯সাল পর্যন্ত একসাথে চলতে পারে কিনা সেটার দিকেই নজর থাকবে দেশবাসীর।তাই দীর্ঘকালীন বা বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে এই জোট কখনোই দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখাতে পারে না।তবে অন্য একটি পক্ষ আবার মনে করে যদি আঞ্চলিক দলগুলি বৃহত্তর স্বার্থের দিকে নজর দিয়ে ক্ষুদ্রতম স্বার্থ ত্যাগ করে নিজেদের একতাবদ্ধ করতে পারে তাহলে বিজেপিকে হারানো কঠিন নয়। তাই সব মিলিয়ে কর্ণাটকে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বুধসন্ধ্যা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here