ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ বিরোধী আন্দোলনের জন্য ৪২ দিন ধরে লক্ষ্ণৌয়ের জেলে কাটাতে হল মালদহের এক ১৫ বছরের নাবালককে। তার আইনজীবী অভিযোগ করেন যে পুলিশ তার মক্কেলকে জোর করে ভয় দেখিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছর বয়সী স্বীকারোক্তি করিয়ে নেয়।
উত্তরপ্রদেশ সরকার দাবি করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ বিরোধী আন্দোলনে প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়। অনেকের বিরুদ্ধেই প্রশাসন নোটিশ জারি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই তালিকায় নাম ছিল মালদার সেই নাবালকেরও। তাকেও ধরানো হয় নোটিশ।
তার আইনজীবী ইয়াসহাব হুসাইন রিজভী জানান যে তিনি যখন তার মক্কেলকে পাঠানো নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য কাগজপত্র একত্রিত করছিলেন তখন তিনি লক্ষ্য করেন যে আধার কার্ড অনুযায়ী তার মক্কেলের বয়স ১৫ বছর।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালকে অসত্য তথ্য পাঠ করতে বাধ্য করেছে রাজ্য সরকারঃ সায়ন্তন
আইনজীবী ইয়াসহাব হুসাইন রিজভী লক্ষ্ণৌয়ের পুলিশ কমিশনারের নিকট অভিযোগ করে জিজ্ঞাসা করেন যে তার মক্কেলকে জুভেনাইল জাস্টিস আইনের দৃষ্টিতে না দেখে হোমের পরিবর্তে কেন জেলে রাখা হল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে মালদার সেই নাবালকের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা সহ মোট ১৫টি অভিযোগ এনেছে প্রশাসন। নাবালক সংবাদমাধ্যমকে জানায়, “তারা (পুলিশ) আমাকে থানায় নিয়ে যায় এবং বলে, ‘বয়স বাড়িয়ে বল!’ আমি ভয়ে তাদের বলি ১৮।”
হযরতগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর জানান,”আমাদের বিশেষ ক্ষমতা নেই যে আমরা কারুর বয়স নিয়ে তদন্ত করব। ওটা কোর্টের কাজ।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584