মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের হাজরাহাটের বালাসি এলাকায়। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পরে স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে ছুটে আসতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মী গনেশ সরকারের।
পরে অপর তৃণমূল কর্মী বিমল সরকারকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ট্রাকের ধাক্কা, গুরুতর জখম চালক
অভিযোগ,গতকাল রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মী গনেশ সরকারের বাড়িতে হামলা করে। সেই সময় বাড়ি থেকে পালাতে গিয়ে ধানের জমিতে পড়ে যান তিনি। তাকে সেই জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বিমল সরকার নামে অপর এক তৃণমূল কর্মীকে মারধোর করে ওই দুষ্কৃতীরা। সে বর্তমানে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব।
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী গনেশের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্র কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায় মৃত কর্মীর বাড়িতে ছুটে যান। মৃতের পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং তার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে দলীয় ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পর্ণশ্রীতে চাঁদার নামে জুলুমবাজি,প্রতিবাদে নিগৃহীতা অন্তঃসত্ত্বা
এদিন পার্থবাবু জানান, “গনেশ সরকার তৃণমূল করে বলে তার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে আঘাত করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এর ফলে গনেশ সরকারের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি অপর এক তৃণমূল কর্মী বিমল সরকার আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিজেপির এই ঘৃণ্য অপরাধকে আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই। পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি তারা প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেবেন বলে আশা করছি।”
যদিও এই অভিযোগকে অস্বীকার করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা যোগেন্দ্রনাথ বর্মণ। তিনি বলেন, “আমি শুনেছি তাদের দীর্ঘদিনের একটা জমি নিয়ে বিবাদ রয়েছে। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান। এই ঘটনার সাথে বিজেপির কোন যোগ নেই। বিজেপিকে কলঙ্কিত করতে মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584